April 19, 2024, 12:16 pm

থানায় সরকারি খাবারই দেওয়া হয়েছে(এমপি) পুত্র ইরফানকে, খোঁজখবর নেয়নি স্বজনরা

অনলাইন ডেস্ক।
রাজধানীর কলাবাগানে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম এখন ধানমন্ডি থানার হাজতখানায় রিমান্ডে আছেন। থানা থেকেই তাকে সরকারি বরাদ্দের দুপুর ও রাতের খাবার দেওয়া হয়েছে। তবে তার কোনো স্বজন থানায় তার খোঁজখবর নিতে আসেনি বলে জানা গেছে।
ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী জাহিদের তিনদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধানমন্ডি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে দুই আমামিকে আদালত থেকে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
রাতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশফাক রাজীর হাসান বলেন, দুপুরের পর পরই তাদের ধানমন্ডি থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের হাজতখানায় রাখা হয়। ইরফানের কোনো স্বজন থানায় তার খোঁজখবর নিতে আসেনি।
থানা থেকে বরাদ্দকৃত খাবারই তাকে দেওয়া হয়। দুপুরে ও রাতে দুই বেলায় ভাত তরকারি দেওয়া হয়েছে।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম আলী মিয়া জানান, থানার হাজতখানায় আসামিদের খাবারের জন্য সরকার থেকে কিছু বরাদ্দ আছে। সেই বরাদ্দকৃত থেকে ইরফান ও তার দেহরক্ষীকে খাবার দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ধানমন্ডিতে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমের মোটরসাইকেলের ঘষা লাগায় তাকে বেধড়ক মারধর করেন গাড়িতে থাকা কয়েকজন। মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ২৬ অক্টোবর ভোরে বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন- সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম (৩৭), তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ (৩৫), হাজী সেলিমের মালিকানাধীন মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু (৪৫), গাড়িচালক মিজানুর রহমান (৩০) ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিনজন।
ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের অবস্থান শনাক্ত করে তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। পরে র‌্যাব ইরফান ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :