ইজিবাইকের শহর এখন ঝিনাইদহ। শত শত ইজিবাইক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সড়ক মহাসড়ক জুড়ে। তবে নিয়ন্ত্রনের কোন উদ্যোগ নেই। প্রতিদিন ৫/১০টি করে ইজিবাইক সড়কে নামানো হচ্ছে। ফলে গায়ে গায়ে লেগে থাকা ইজিবাইকের জন্য ফুটপাতেও এখন হাটাচলা করা বিপদ। ঝিনাইদহ শহরের যানজটের মুলে রয়েছে এই ইজিবাইক। যত্রতত্র পার্কিং করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই জোটবদ্ধ হয়ে তারা হামলা চালাচ্ছে। ইতিমেধ্য পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে ইজিবাইক চালকরা। কিন্তু তাদের থামানোর কোন উদ্যোগ নেই। অপ্রতিরোধ্য ইজিবাইকের অদক্ষ চালক যেখানে-সেখানে ইউটার্ন বা যাত্রী ওঠানোর কারণে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। হামদহ এলাকার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা তুষার আহমেদ বলেন, এক সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা হয়ে উঠেছিল শহরবাসীর চলাচলের নির্ভরযোগ্য বাহন। কিন্তু এখন এতো ইজিবাইক যে গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে দেখা দিয়েছে। শহরবাসীর চলাচলের প্রধান সড়কগুলোতে সব সময় জানযট লেগেই আছে। ফলে জনভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরবাসিরা ইজিবাইকের কারণে এখন অতিষ্ঠ। নিরাপদে চলাচলের সব পথ সংকুচিত হয়ে পড়ছে। দেশের অন্যান্য শহরে ইজিবাইক নিয়ন্ত্রন করা হলেও ঝিনাইদহে নিয়ন্ত্রনহীন। ট্রাফিক পুলিশ এদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শত শত ইজিবাইক ও অটোরিকশা শহরের পায়রা চত্বর, মুজিব চত্বর, বঙ্গবন্ধু সড়ক, পাগলাকাইনা, শেরেবাংলা সড়ক ও এইচএসএস সড়কে এলোমেলা দাড়িয়ে আছে। অধিকাংশ ইজিবাইকেরই চলাচলের জন্য বৈধ কোনো অনুমতিপত্র নেই। চালকদের নেই কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স। এমনকি চালকদের ট্রাফিক আইন সম্পর্কেও কোনো ধারণা নেই। লিয়াকত হোসেন নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ইজিবাইকের কারণে সড়কে চলাচল করা এখন দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝিনাইদহে ইজিবাইকের সংখ্যা এতোটাই বেড়েছে যে শুধু সড়ক পার হওয়া নয়, এদের বেপরোয়া গতিতে মানুষ আতঙ্কিত। ঝিনাইদহ পৌরসভার একটি সূত্রে জানা গেছে, সড়কে শৃঙ্খলা পেরাতে নতুন মেয়র উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। আগামী মাসে থেকে দেওয়া হবে ইজিবাইকের নতুন লাইসেন্স। ইজিবাইক চালকদের দুইটি শিফট ভাগ করে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের ট্রাফিক পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, ইজিবাইকের চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনার কাজটি পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব না। জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের।।
Leave a Reply