রূপকথার বাংলাদেশ রূপের তার নেইকো শেষ
আমার সোনার বাংলাদেশ!
মেঠোপথ কাশবন, বাঁশঝাড় ঝাউবন,সোনালী আঁশ পাট গাছ, পাকা ধানের শীষে-সোনালী রোদের মিষ্টি আভা;
নতুন ধানে মই লাগিয়ে ভরে গোলা-
কৃষকের ঘরে বয়ে যায় আনন্দের বন্যা!
পিঠা পার্বণ নবান্ন উৎসবে বধু যায় বাপের বাড়ি;
রাখাল ছেলে গরু চরায় হুর হুর হুট হুট…
মনের সুখে বাঁশি বাজায় কদম তলে-
সরিষা ক্ষেতে বয়ে যায় ঝিরিঝিরি পূবালী বাতাস
মন ছুটে যায় হিজল তমাল গাছের পানে-
দোয়েল ,শ্যামা, ডাহুক ডাকে শিমুল গাছের মগডালে!
কাঠঠোকরা, কাঠবিড়ালি নাচে ডালে তালে তালে!
রূপের তার নেইকো শেষ রূপসী আমার বাংলাদেশ!
কিশোরী কন্যার স্বপ্নসাধ মেহেদির রঙে রাঙাবে হাত থাকবে শেষে, বধু বেশে যাবে সে আপন ঘরে!
সানাইয়ের সুরে পালকি করে, আসবে বর
চার বেহারার কাঁধে চড়ে।
শীত, গ্রীষ্ম বারো মাস রকমারি ফুলের চাষ,
খেজুর রস, তাল পিঠা, আম, সুপারি ,নারিকেল গাছ,
পেঁপে, পেয়ারা, জাম, কাঁঠাল ,বেল, খেজুর আর
আখের রস।
সব ঋতুতে সমভাবাপন্ন ,ফুলে ফলে রূপের জাদু বিদ্যমান;
গাছগাছালি-পাখপাখালি, সাগর ,নদী, ঝর্ণা, উদ্যান, রূপের পসরা সাজিয়ে আমার রূপকথারই বাংলাদেশ!