April 26, 2024, 2:39 am

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হামলার ঘটনায় মৃত্যু ৪, আহত ২৫, বিজিবি মোতায়েন

অনলাইন ডেস্ক : কুমিল্লায় পূজা মন্ডপের ঘটনায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গতকাল রাতে পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু ও কমপক্ষে ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জীবন ও সম্পদ রক্ষার্থে ফায়ার হতে পারে।
গত কালের ঘটনায় হাজীগঞ্জে ৭ জন ও কুমিল্লায় ৪৩ জনসহ চট্টগ্রাম রেঞ্জে মোট ৭৩ জন গ্রেফতার হয়েছে ।
হাজীগঞ্জ উপজেলার মন্দিরে হামলার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে । সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ দিকে এ ঘটনায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।
জানা যায় বুধবার এশার নামাজের পর হাজীগঞ্জে পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে মন্দিরে হামলার ঘটনায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের গুলিতে আহত কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন ৩ জন মারা যান। সংঘর্ষে পুলিশ ও জনতাসহ প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায় ।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, নিহতরা হলেন- হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের আলামিন (১৮), উপজেলার রান্ধুনীমুড়া সেকান্দার আলী বেপারী বাড়ির ফজলুল হকের ছেলে ইয়াছিন হোসেন হৃদয় (১৫), রায় চৌ গ্রামের আব্বাস হোসেনের পুত্র রাশেদ হোসেন (২২) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাবলু (২৮) নামের এক ব্যক্তি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার এশার নামাজের পর হাজীগঞ্জ বিশ্ব রোড চৌরাস্তা এলাকা থেকে স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি হাজীগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়কে দু’বার প্রদক্ষিণ শেষে ৩য় বার বাজারের পূর্ব দিকে যাওয়ার পথে হঠাৎ মিছিল থেকে লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়া (ত্রীনয়নী) পূজা মন্ডপে হামলা চালানো হয়। পরে পুলিশ ও মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ জানান,মন্দিরে হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে সংঘর্ষে ১৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া ৪ জনের মৃত্যুর তথ্য আমাদের কাছে আছে। তাদের পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অপরাধিদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
হাজীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার জানান, বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। গতকাল রাতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :