চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি।।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হাসান কাদির গনুর নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এম সবেদ আলীর মোবাইলফোন প্রতীকের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রক্তাক্ত জখম হয়েছেন নৌকা প্রার্থীর তিনকর্মী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর একজন। হামলা ভাংচুরের ঘটনায় নৌকার মেয়র প্রার্থীর ভাই আ,স,ম সালাউদ্দিন বাদী হয়ে ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২০ জনকে আসামী করে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আজ শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে জাসদের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরস্পরের নেতাকর্মীদের দায়ী করছে উভয় পক্ষ। এনিয়ে পুরো শহরজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গেল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে প্রথমে আলমডাঙ্গা কলেজপাড়া ও আনন্দধামে অবস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এম সবেদ আলীর দুইটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয় । এ সংবাদ জানতে পেরে পরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা চাতালমোড়, কলেজপাড়া, শেফা ক্লিনিকের পাশে ও গোবিন্দপুর হরিতলায় অবস্থিত নৌকা প্রতিকের চারটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে।
গতরাতে পরস্পরের অফিস ভাঙচুরের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে পুলিশ ও উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের মারমুখী অবস্থানে দু’পক্ষের কর্মীরা সটকে পড়েন।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর জানান, ঘটনার পর রাত ১টার দিকে নৌকার মেয়র প্রার্থীর ভাই আ.স.ম সালাউদ্দিন বাদী হয়ে ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন ও রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।
Leave a Reply