April 18, 2024, 11:21 am

জরুরি বিভাগে রোগী দেখছেন অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ : রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার দায়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার দায়ে এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ। আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. শহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার (৮ অক্টোবর) আদালত লালপুরের ব্যক্তি মালিকানাধীন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং লালপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্বপ্রনোদিত হয়ে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আদালতের আদেশের বরাত দিয়ে মো. শহিদুজ্জামান আরও বলেন, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের পরিবর্তে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেন। মুহূর্তেই সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, ওই হাসপাতালের রোগী বহনকারী ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেন স্টেথোস্কোপ লাগিয়ে জরুরি বিভাগে রোগী দেখছেন।
এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমজাদ হোসেনের চিকিৎসা দেয়ার সত্যতা পান। বিষয়টিকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২২ এবং ২৮ ধারায় ফৌজদারি অপরাধ বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।

শনিবার আসামির বিরুদ্ধে স্বপ্রোনোদিত হয়ে অপরাধ আমলে গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পাশাপাশি আগামী ১৯ অক্টোবর তারিখে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. সুরুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আমজাদ একজন রোগী নিয়ে আসেন ওই হাসপাতালে। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. জামিলা আক্তার এবং তার সহকারী ইয়াসমিন অন্য রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে আমজাদ ওই রোগীর প্রেশার পরীক্ষা করেন। এতে করে আমাজাদ নিজেও বিপদে পড়েছেন হাসপাতালের সম্মানও নষ্ট করেছেন। তবে আদালতের কোনো আদেশের বিষয়ে তিনি জানতে পারেন নি বলেও জানান তিনি।

লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনোয়ারুজ্জামান বলেন, আদালতের স্বপ্রনোদিত হয়ে আমলে গ্রহণ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি জেনেছি। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আদেশের কপি হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :