April 17, 2024, 12:29 am

দর্শনা পৌর নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন চতুর্থ বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন মোঃ মতিয়ার রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে । আবার বিপুল ভোটে পুনরায় নির্বাচিত হলেন জনপ্রিয় মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান । সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তৃতীয় ধাপে আজ দেশের ৬৩ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয় ধাপে সবগুলো পৌরসভায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ মতিয়ার রহমান নৌকা প্রতীকে ১৭ হাজার ৩৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমান বুলেট ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১১’শ ৯৪ ভোট এবং স্বতন্ত্র (জামায়াত সমর্থিত)প্রার্থী আশকার আলী মোবাইল প্রতীকে ৪’শ ৩৩ ভোট। মোট ভোট কাস্ট হয়েছে ১৯ হাজার ৬’শ ৫৩ ভোট। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ২৯০ ভোট। তৃতীয় ধাপের দর্শনা পৌরসভার নির্বাচনে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা। শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয় ভোটের সরঞ্জাম। দর্শনা পৌরসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২৭ হাজার ৫২০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার ৫৭১ ও নারী ১৩ হাজার ৯৪৬ জন। এবারের নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে ১৬ টি ভোটকেন্দ্রে ৮২টি বুথে গোপন ব্যালোটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট কেন্দ্রসহ সর্বস্থানে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের একাধিক বিশেষ টিম ছিলো। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে বলে চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেমদ জানিয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ ও অতিগুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। শনিবার সকালে ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইটিং অফিসারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের কিছুক্ষণ আগে ব্যালেট পেপার নেয়া হয়েছে । শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৯টি ওয়ার্ডে ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ছিল পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। মাঠপর্যায়ে সার্বক্ষণিক মহড়া দিতে ৩ প্লাটুন বিজিবি ও ২ প্লাটুন র‌্যাব ছিলো । এছাড়া দর্শনা অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টার নির্বাচনী কন্ট্রোল রুম হিসেবে ব্যবহার করা হয় । সেখান থেকেই রাত ৮ টার দিকে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেমদ ।
এবারের নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে ১৬টি ভোটকেন্দ্রে ৮২টি বুথে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয় ।এবার পুরুষ ভোটার থেকে নারী ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
একনজরে দর্শনা পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল : দর্শনা পৌরসভার নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে বিলকিস খাতুন (চশমা)প্রতীকে ৩৪৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছাঃ আম্বিয়া খাতুন আনারস প্রতীকে ২৪২০ ভোট পেয়েছেন । ৪, ৫ ও ৭নং ওয়ার্ডে জাহানারা খাতুন (চশমা) প্রতীকে ৩০৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী
ও শিউলী আক্তার (আনারস) প্রতীকে ২৩৬৯
ভোট পেয়েছেন।
৬, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সুরাতন নেছা (আনারস)
প্রতীকে ২৩৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছাঃ শাহিমা বেগম (জবাফুল) প্রতীকে ১৯৭১ ভোট , মোছাঃ সেলিনা পারভিন (চশমা) প্রতীকে ১৩১০ ভোট,ফাহিমা খাতুন (টেলিফোন), প্রতীকে ১০৪৩ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৫৫ ভোটার, মোহাঃ হাসান খালেকুজ্জামান (পানির বোতল)
প্রতীকে ৬৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসির উদ্দিন খেদু (উটপাখি) প্রতীকে ৬৬০ ভোট, মোঃ আজিজুর রহমান সুজন (ব্রিজ)প্রতীকে ৩৫৮ ভোট , আনোয়ার হোসেন দুলু (গাজর)প্রতীকে ৪৫ ভোট পেয়েছেন।
২নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৩৬৯জন, মোঃ এনামুল কবির (পাঞ্জাবি) প্রতীকে ৮৯৩ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল কুদ্দুস (টেবিল ল্যাম্প) প্রতীকে ৮৬২ ভোট, সোহেল রানা মহিউদ্দিন (উটপাখি) প্রতীকে ১০৮ ভোট পেয়েছেন।
৩নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ১২১জন, প্রার্থী রবিউল হক সুমন (উটপাখি)
প্রতীকে ১৮৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ারুল ইসলাম দোলন (টেবিল ল্যাম্প) প্রতীকে ৪৮১ ভোট, মোঃ শহিদুল ইসলাম (ব্লাকবোর্ড) ১১৭ভোট
পেয়েছেন।
৪নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ১১০জন, মোঃ মনির সরদার (ব্রিজ) প্রতীকে ১২৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম (পাঞ্জাবি) প্রতীকে ৩৩৮ ভোট , আব্দুর রাজ্জাক (উটপাখি) প্রতীকে ১৩৫ ভোট , মোঃ হাবিবুল্লাহ বাহার (ব্লাকবোর্ড) প্রতীকে১২৪ ভোট ও সোহেল মিয়া টেবিল ল্যাম্প) প্রতীকে ৬৭ ভোট পেয়েছেন।
৫নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ১০৯জন, সাইফুল ইসলাম (ডালিম)প্রতীকে ৬৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ নজরুল ইসলাম (পাঞ্জাবি)প্রতীকে ৪৪২ ভোট লুৎফর রহমান (পানির বোতল)প্রতীকে ৩৩৮ভোট , লাল্টু খান (ব্রিজ) প্রতীকে ১৯ ভোট , আব্দুল মিয়া (টেবিল ল্যাম্প)প্রতীকে ৩৩৪ ভোট , রাজিবুল ইসলাম (উটপাখি) প্রতীকে ৩০৭ ভোট পেয়েছেন।
৬নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ২৩জন, রেজাউল ইসলাম (পানির বোতল) প্রতীকে ১০৪৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী
হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃকামরুল হুদা টেবিল ল্যাম্প) প্রতীকে ৮৩৫ ভোট , মোঃ হারুন অর রশিদ (উটপাখি)প্রতীকে ৪০৯ ভোট পেয়েছেন।
৭নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৪৬৫ জন,মোঃ সাবির হোসেন মিকা (পাঞ্জাবি) প্রতীকে ৫১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী
হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাফিজুর রহমান (ডালিম) প্রতীকে ৪৫৩ ভোট, আয়নাল হক (পানির বোতল) প্রতীকে ২৯৮ ভোট, কানচু মাতবর (উটপাখি)প্রতীকে ২৫২ ভোট পেয়েছেন।
৮নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৪৪৪জন, বিল্লাল হোসেন (উটপাখি) প্রতীকে ৯১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃশরিফ উদ্দিন( টেবিল ল্যাম্প)প্রতীকে ৮৬১ভোট,বাবুল আক্তার (ডালিম)প্রতীকে ৪৯৮ ভোট প্রার্থী চান্দু মাস্টার (পানির বোতল)প্রতীকে ২৬২ ভোট , মোঃ নাসির উদ্দিন (পাঞ্জাবি)প্রতীকে ১১ভোট পেয়েছেন।
৯নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৯২৮জন, মোঃ আশুর উদ্দীন (উটপাখি) প্রতীকে ৬২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (টেবিল ল্যাম্প) প্রতীকে ৫১১ভোট, মোঃ সাইদুর রহমান (পানির বোতল) প্রতীকে ৪২৪ ভোট,মোঃ মঈনুদ্দিন মন্টু (গাজর) প্রতীকে ৩৭০ ভোট, মোঃ আজিজুল হক (ডালিম) প্রতীকে ১৬৬ ভোট ও মোঃ বাবলুর রহমান (পাঞ্জাবি) প্রতীকে ১৩৬ ভোট পেয়েছেন।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :