April 20, 2024, 1:12 am

নোয়াখালীতে ঠান্ডাজনিত রোগে পাঁচ শতাধিক শিশু-বৃদ্ধ আক্রান্ত

মো:তাওহীদুল হক চৌধুরী,নোয়াখালী প্রতিনিধি।
আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্রভাবে নোয়াখালীতে শিশু-বৃদ্ধ মিলে প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্র সমূহে চিকিৎসাধিন রয়েছে। দিনে গরম, সন্ধ্যা ও রাতে শীতের আমেজ এমন পরিস্থিতিতে যেখানে বড়দের খাপ খাইয়ে চলতে কস্ট হচ্ছে সেখানে শিশু-বৃদ্ধদের অবস্থা বেসামাল হওয়ারই কথা। এরই মাঝে হঠাৎ করে সারাদেশের ন্যায় নোয়াখালীতেও শুষ্ক ও মৌসুমি হিমেল বাতাসের প্রভাব বিস্তার করছে। ফলে শহর-গ্রামাঞ্চলসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশু-বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দি ও নিউমোনিয়ার মতো ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তবে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের শিশু-বৃদ্ধদের অবস্থা খুবই বেগতিক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গত জানুয়ারী মাসের মধ্যবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অসংখ্য শিশু-বৃদ্ধ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেয়েছে। হাসপাতালের শিশু ও পুরুষ ওয়ার্ডের সিট সংকুলান না হওয়ায় ওয়ার্ডগুলোর মেঝে ও করিডোরে রোগীরা অবস্থান করছে। শুধু নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালই নয় জেলার বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল গুলোর ওয়ার্ড ও কেবিন গুলো ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীতে ভরপুর। এদিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পর্যাপ্ত ঔষধদের সরবরাহ না থাকায় হাসপাতালে অবস্থানরত দুস্থ: ও অসহায় রোগীদের অভিভাকরা পড়ছেন বিপাকে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল সূ্ত্রে জানা গেছে ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ২৫/৩০জন শিশু ও বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এদের মাঝে শূন্যে থেকে ৪/৫ বছরের শিশুর সংখ্যাই বেশি।
জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, শীতকালে বাতাসে ধুলিকণার পরিমাণ বেশি এবং বাতাসে বিভিন্ন ধরণের জিবাণু বিদ্যমান থাকে। ফলে এ সময় অসর্তকতার কারণে শ্বাসনালি দিয়ে ধুলিকণা ও জীবাণু ফুসফুসে প্রবেশ করে ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। যেহেতু শীতকাল শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য খুবই সেনসেটিভ সময় সেহেতু এই সময়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের একটু বেশি সর্তক থেকে শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি অধিক যত্নশীল হতে হবে। ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় গরম কাপড় পরিধান, ঠান্ডা খাবার পরিহার ও ঠান্ডা পরিবেশে যাতায়াত থেকে বিরত থাকতে হবে। এসময় ডায়রিয়া ও কলেরা জনিত সদস্যা এড়াতে খাদ্যাবাসেও সর্তক থাকার পরামর্শ প্রদান করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :