April 18, 2024, 11:00 pm

বিশেষজ্ঞ টিমের ট্রায়াল ; পানি কমলেই পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু 





অনলাইন ডেস্ক:
পদ্মা নদীর পানি বর্তমান উচ্চতা থেকে কমে ৪.৮ সে.মি. উচ্চতায় প্রবাহিত হলে পদ্মা সেতুর পরবর্তী স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ৩২ তম স্প্যানও আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি সবগুলো স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রকৌশলীদের। ইতিমধ্যে সেতুর পিয়ারের উপরে বসানোর জন্য ৪টি স্প্যান ‘ওয়ান-এ’, ‘ওয়ান-বি’, ‘ওয়ান-সি’ ও ‘ওয়ান-ডি’ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। পরবর্তী স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু করার জন্য গতকাল সোমবার দিনব্যাপী সেতু এলাকায় স্প্যান বিশেষজ্ঞ টিম ট্রায়াল (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) করেছেন। একইদিন সন্ধ্যায় পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৗশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বন্যার কারণে সেতুতে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম এতোদিন স্থগিত ছিলো। এ কারণে সংশ্লিষ্ট চীনা স্প্যান বিশেষজ্ঞরা চীনে ফিরে গিয়েছিলো। পানি কমতে শুরু করছে তাই আবারো স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু করার প্রস্তুতি হিসাবে বিশেষজ্ঞ টিম এসেছিলেন। গত সোমবার দিনব্যাপী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন বিশেষজ্ঞ টিম। তবে পানির উচ্চতা বেশি থাকায় এখনই স্প্যান বসানো যাচ্ছে না। আশা করা হচ্ছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই পানি কমে যাবে। পানি কমলে চলতি মাসে শেষের দিকেই ৩২ তম স্প্যান বসানো হবে। আর এ বছরের ডিসেম্বরে ৩২তম সহ বাকি ১০টি স্প্যান পিয়ারের উপর বসানো হবে। তিনি আরো জানান, পরবর্তী ৪টি স্প্যান পিয়ার ১-২, ২-৩, ৩-৪ ও ৪-৫নং এ বসানো হবে। বর্তমান সময়ে পদ্মায় নাব্যতা সংকট থাকলেও এসব পিয়ার মূল নদীতে হওয়ায় স্প্যান বসাতে নাব্যতা সংকট কোন বাঁধা হবে না।
এর আগে গত চলতি বছরের ১০ই জুন সর্বশেষ ৩১তম স্প্যান পদ্মা সেতুতে বসানো হয়েছিলো। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৩১টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :