শুরু হয়ে গেছে পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের লড়াই। এ লড়াইয়ে প্রথম প্রতিযোগী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন হাউজ অব কমনস নেতা পেনি মরড্যান্ট। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) এক টুইটবার্তায় একথা নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজে।
টুইতে মরড্যান্ট লিখেছেন, ‘একটি নতুন শুরু, একতাবদ্ধ দল ও জাতীয় স্বার্থে নেতৃত্ব যারা চান, সেসব সহকর্মীর সমর্থন আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আমি নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করছি- আমাদের দেশকে একতাবদ্ধ করতে, আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ও পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করতে’।
গত গ্রীষ্মের নির্বাচনে তৃতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিলো মরড্যান্টকে। এমপিদের কাছ থেকে দৃঢ় সমর্থন পেলেও একটুর জন্য হেরে যান তিনি।
লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মরড্যান্টকে হাউজ অব কমনসের নেতা ও প্রিভি কাউন্সিলের লর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে এখন পর্যন্ত এমপি জন ল্যামন্ট, মারিয়া মিলার, বব সিলি ও ডেমিয়ান কলিন্স সমর্থন করছেন তাকে।
নিজের প্রার্থিতা ঘোষণার আগে অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টের সাথে বৈঠক করেন মরড্যান্ট। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে হান্ট-ই অর্থমন্ত্রী থাকবেন বলে তাকে আশ্বস্ত করেন মরড্যান্ট।
অন্যদিকে, আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ৩১ অক্টোবরই মধ্যবর্তী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে বলে মরড্যান্টকে আশ্বস্ত করেন হান্ট।
রাজনীতি শুরু করার আগে একটি বিচিত্র জীবন কাটিয়েছেন পেনি মরড্যান্ট। তিনি কাজ করেছেন জাদুকরের সহকারী হিসেবে, রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট পরবর্তী সময়ে হাসপাতাল ও অনাথাশ্রমে এবং ফ্রাইট ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনে।
কনজারভেটিভ পার্টির যুব শাখা ও উইলিয়াম হেগের প্রেস কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তবে তিনি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় স্প্ল্যাশ! নামের একটি সেলেব্রিটি শো’তে অংশ নেয়ার জন্য।
রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড ক্যামেরনের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে। এরপর থেরেসা মে’র সময় প্রথম নারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হন তিনি।
তবে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মরড্যান্টকে সে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। জনসনের পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়লেও অল্পের জন্য হেরে যান তিনি।
Leave a Reply