April 19, 2024, 9:48 am

মেঘের খেয়া

ফরেস্ট একাডেমি, চট্টগ্রাম এর সৌন্দর্যে যুক্ত হলো নতুন পালক। দুর পাহাড়ের নৈসর্গিকতায় মেঘ ছুয়ে দিতে নতুন নির্মান করা হলো সংযোগ সেতু- “মেঘের খেয়া”।

সুউচ্চ পাহাড়ের বুক চিরে নির্মিত নয়নাভিরাম পথের প্রান্তে এসে হঠাৎ পতনের সীমানা পেরিয়ে নিচে নামতে হয় এর ডরমিটরিতে যাতায়াতের সিঁড়ি ভেঙে। উত্থান-পতনের যোগফল প্রায় আটতলা ভবনের সমান। কখনো ক্লান্তি এসে ভর করে আসা-যাওয়ার পথে। বারবার যাতায়াতের সিঁড়ি ভেঙে সবার সমর্থে কুলায় না সবসময়। বয়সী মানুষ, হৃদয় ঘটিত জটিলতায় ভুক্তভোগী ও হাটুব্যথার কারনে অনেকের জন্য তা অসম্ভবের হয়ে যায় কখনো কখনো।

পাহাড়ের নান্দনিকতা মানেই বন বনানী ও ঘন বনের সন্নিবিষ্ট গাছপালা। নানা আকার প্রকৃতির উদ্ভিদের অবন্যস্ত আত্মীয়তায় সৃষ্ট নির্জনতার মোহাচ্ছন্নতা মানুষ মাত্রেই টানে অবলীলায়, অনুক্ষণ। সাথে আছে টুনটুনি, দোয়েল, কাঠঠোকরা, কোকিল, কানাকুয়া, প্যাঁচা, ঘুঘুদের নিত্য কলতান ও সদর্প উপস্থিতি কাঠবিড়ালি, গুইসাপ সহ নানান প্রাণীদের। প্রাণবৈচিত্র্যের এ মহাসমাবেশ যেন হাত বাড়িয়ে ডাকে উন্নত মস্তকের গর্জন, তেলসুর, কাঞ্জল-ভাদীদের সারিতে হাজির হতে।

একদিকে সুরম্য অট্টালিকার বসতি, সম্মুখে নিবিষ্ট পাহাড়ের নৈসর্গিকতা, জোছনা রাতের অপারর্থিব আকর্ষন, ঝিঁঝিপোকাদের কর্কশ ঝংকার এবং অপরদিকে দুপাশে ঘন বনের দন্ডায়মান বৃক্ষদের নিবিড় সমাবেশ। প্রকৃতির এ মনোঁরমতাকে হৃদয়ে উপভোগ করতে, নিশ্বাসের খুব কাছে এনে বুকে টানতে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে *”মেঘের খেয়া”*।

সবুজ বন্য প্রকৃতি ও পাহাড়ের নিবিড়তার বুক চিরে দন্ডায়মান সুউচ্চ বৃক্ষরাজীর সুবিন্যাস্ত নৈসর্গিকতায় দাড়িয়ে মেঘ ছোঁয়ার এ পরিসর জুড়েই বিরাজমান এক স্বর্গীয় প্রশান্তির শীতলতা।

আপনিও আমন্ত্রিত, স্বর্গ ছুয়ে দিতে মেঘের খেয়ায় ভেসে ভেসে।

লেখক :- ড. মোল্যা রেজাউল করিম
পরিচালক, ফরেস্ট একাডেমি, চট্রগ্রাম।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :