April 18, 2024, 1:52 pm

যশোরের বাজারে উঠেছে গ্রীস্মের রসালো ফল তরমুজ: রমজানে দাম কমার আশা

যশোরের বাজারে উঠেছে গ্রীস্মের রসালো ফল তরমুজ। তবে, এখন যে তরমুজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে, তা খুব বেশি পরিপক্ক না হলেও অসময়ে পাওয়ায় সকলে আগ্রহ করে কিনছেন। দোকানিরা বলছেন, এখন বাজারে যে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে, তা পিস হিসেবেই বেশি বিক্রি হচ্ছে। যার দর ১শ’ থেকে ৩শ’ ৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে ফলন ভালো হওয়ায় এবারের রমজানে বাজারে আরও তরমুজের আমদানি হবে বলে মনে করছেন তারা। একইসাথে দামও কমতে পারে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
এদিকে, কৃষি বিভাগ বলছে বাজারে যে তরমুজ উঠছে তা নির্দ্বিধায় খাওয়া যায়। কোন কেমিক্যাল দিয়ে তরমুজ পাকানো যায় না। সে চেষ্টা করলেও তরমুজ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
যশোরের ফলের মার্কেট দড়াটানা, চৌরাস্তা, মণিহার ফলপট্টি, হাইকোর্ট মোড়, নিউমার্কেটসহ বেশ কিছু স্থানে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। এখানে প্রতি পিস ছোট সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১শ’ থেকে ১শ’ ৬০ এবং মাঝারিগুলো ১শ’ ৮০ থেকে ২শ’ ৫০ টাকা পর্যন্ত। বড় সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২শ’ ৫০ থেকে ৩শ’ টাকায়। দু’একটি দোকানে এই দরের বাইরে বিক্রি হচ্ছে বলেও তথ্য মিলেছে। তবে কেউ যদি কেজিতে কিনতে চান সে ক্ষেতেও ৪০-৪৫ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, এখন যে তরমুজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তা বাগেরহাট, পটুয়াখালি, ভোলা, পিরোজপুর থেকে আসছে। এই মৌসুমে এখনো পর্যন্ত ভারি বৃষ্টি বা কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। এই অসময়েও বাজারে তরমুজের সমারোহ ঘটেছে।
তরমুজ ক্রেতা নীলগঞ্জ এলাকার মহিউদ্দিন বলেন, তিনি গত ১১ মার্চ দুটি মাঝারি সাইজের তরমুজ কিনেছিলেন। যার একটি বেশ ভালো ছিল। অন্যটির ভিতরে একটু সাদা ভাব ছিল। যার কারণে তিনি সোমবারও একটি তরমুজ কিনেছেন মাঝারি সাইজের। তিনি বলেন, বড় তরমুজের চেয়ে মাঝারি তরমুজ খেতে বেশি ভালো। বড়গুলো এখনো পরিপক্ক হয়নি। ওইগুলো হাইব্রিড জাতের হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মণিহার এলাকার তরমুজ দোকানি ফরিদুল ইসলাম বলেন, যে পরিমাণ তরমুজ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে রমজানে দাম আরও কমতে পারে। এটা অবশ্য চাহিদার অনুযায়ী সরবরাহের উপর নির্ভর করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
যশোর কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) আবু তালহা বলেন, এখন বাজারে যে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে তা খুব বেশি পরিপক্ক না হলেও খেতে খারাপ না। তবে আর কিছুদিন পর তরমুজ আরও পরিপক্ক হবে। তিনি বলেন, এটা বেশ ভালো যে রমজানের আগেই বাজারে তরমুজের যথেষ্ট যোগান রয়েছে।
আবু তালহা বলেন, তরমুজে কোন প্রকার কেমিক্যাল ব্যবহার হয় না। অনেকের ধারণা তরমুজ কেমিক্যাল দিয়ে লাল করা হয়। এটা সত্য নয়। কারণ কেমিক্যাল দিয়ে তরমুজ পাকালে দু’দিনও ভালো থাকে না, নষ্ট হয়ে যায়।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :