April 25, 2024, 10:57 am

হিসাব-নিকাশ করে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

হিসাব-নিকাশ করে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) মতিঝিলে এমসিসিআই-এ একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এক বিজ্ঞপ্তিতে চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায় চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন করে প্যাকেটজাত ও খোলা চিনির দাম বাড়ানোর যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তাতে প্রতি কেজি চিনির দাম বাড়বে পাঁচ টাকা করে। ফলে এক কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি ১১২ টাকায় বিক্রি হবে। নতুন এ দাম আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

টিপু মুনশি বলেন, মূল্যবৃদ্ধি তখনই করা হয় যখন প্রয়োজন হয়। মূল্যায়ন করেই এটা করা হয়। যে দাম হওয়া উচিত বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ করেই এটা করে। সে হিসাব-নিকাশ করে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে। এটা যদি এড্রেস না করা হয় তাহলে ফলাফল ভিন্ন হবে। বাজারে চিনি পাওয়াই যাবে না। এটা বিবেচনা করেই করে যেটা হওয়া উচিত সেটা করা হয়েছে। আবার যখন কমার প্রয়োজন তখন কমাবে।

মিল থেকে চিনি বের করতে হলে ১৬-১৭ দিন লেগে যায়। আর এর জন্য প্রতিদিন ২/৩ হাজার টাকা করে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমরা শুনেছি। আমরা চেষ্টা করছি এটা যেন না হয়।

সাংবাদিকরা বলেন, চিনিকলগুলো যখন উৎপাদন সীমিত করে ফেলছে তখন ব্যবসায়ীরা চিনির দাম ইচ্ছা মতো বাড়াচ্ছে। এ কথার পিঠে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা (আপনাদের) ভুল ধারণা। দেশে যে পরিমাণ চিনি উৎপাদন হয় তা মোট প্রয়োজনের ১ শতাংশ। চিনির দামের ক্ষেত্রে এটা কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। দেশে উৎপাদিত চিনির পরিমাণ ৫০ হাজার টন। আমাদের চিনির চাহিদা পূরণ করতে হয় আমদানি করে। গ্লোবাল মার্কেটে চিনির দাম বেড়েছে। যার জন্য সমস্যাটা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি যাতে ভ্যাটটা একটু কমিয়ে দেওয়া হয়, যাতে দামে প্রভাব পড়ে।

বড় বড় শিল্প গ্রুপের মতো সহজে এলসি খুলতে পারে না ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জাহাজে পণ্য বন্দি করে রাখা হয়েছে। সাংবাদিকদের এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, জাহাজে যে পণ্য ছিলো সেগুলো গত পরশু থেকে খালাস শুরু হয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে যাতে তারা এলসি খুলে। ব্যাংক তাদের আস্থার ভিত্তিতে পণ্য আমদানিতে এলসি খুলে থাকে। সে আস্থার জায়গা থেকেই ব্যাংকগুলো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের এলসি খুলছে। ছোট গ্রুপগুলোরও ব্যাংক টু গ্রাহকের আস্থার ভিত্তিতে এলসি খুলে থাকে। ব্যাংকগুলোতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রমজানের পণ্য যেন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে খুলে থাকে।

গ্যাসের দাম কমানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে উদ্যোক্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চায়। গ্যাসের দাম অ্যাডজাস্ট করার জন্য যখন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন তারা বলেছিলেন যাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবারহ হয়। কিন্তু যখন গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো, তখন তারা বলছেন, দাম একটু বেশি হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তারা কথা বলবেন বলে আমাদের বলেছে। আমরাও আমাদের মতো করে রিপোর্টটা করছি যেটা ভালো হয় সেটা করবো। দেখবো গ্যাসের দাম কমানো যায় কি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :