April 20, 2024, 11:00 am

ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের নির্দেশ অগ্রাহ্য বন্ধ ৩ ক্লিনিক চলছেই

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
সিজারিয়ান অপারেশনের পর প্রসুতি মৃত্যুর দায়ে বন্ধ মহেশপুরের তিনটি ক্লিনিক চলছেই। ঝিনাইদহসিভিল সার্জনের নির্দেশ অমান্য করে ক্লিনিক মালিকরা আগের মতোই অপারেশনসহ নানা কার্যক্রমঅব্যাহত রখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে ক্লিনিক চালু রাখার সত্যতামিলেছে। ক্লিনিক মালিকরা বলছেন, তারা সিভিল সার্জনের চিঠি পাননি। ফলে অসহায় রোগীদেরচিকিৎসার জন্য ক্লিনিক চালু রাখতে হচ্ছে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম মঙ্গলবারদুপুরে জানান, প্রসুতি মৃত্যু ও অনিয়মের করণে আমি কালীগঞ্জের দুইটি, মহেশপুরের ৩টি ওহরিণাকুন্ডু উপজেলার একটিসহ মোট ৬টি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছি। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গতসপ্তায় হরিণাকুন্ডু শহরের আসমত আলীর মালিকানাধীন ভাই ভাই ক্লিনিক, মহেশপুরের নেপারমোড়ে অবস্থিত মোহন লালের মালিকানাধীন একতা ক্লিনিক, একই বাজারের নাজমুল হাসান মনুরমালিকানাধীন মা ও শিশু ক্লিনিক, মহেশপুর শহরের সুবাশ চন্দ্র দাসের মহেশপুর প্রাইভেট হাসপাতালেসিজারের পর যথাক্রমে রোজিনা খাতুন, লাবানী আক্তার, মরিয়ম খাতুন ও রিনা খাতুন নামে তিনপ্রসুতির মৃত্যু ঘটে। মহেশপুরের তিন ক্লিনিকে অপারেশন করেন বাগেরহাট শহরের পিসি কলেজরোডের বাসিন্দা আকতার হোসেনের ছেলে ডাঃ সোহলে রানা। তিনি এখনো ওই সব ক্লিনিকে গোপনেগোপনে সিজার করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলা শহরের ভাই ভাইক্লিনিকটি প্রসুতি মৃত্যুর পর থেকেই বন্ধ রয়েছে। সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম আরো জানান, চারপ্রসুতি মৃত্যুর পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তাছাড়া তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্তক্লিনিকগুলো বন্ধ রাখার জন্য গত ২০ আগষ্ট সিএসঝি/১৬২৫ নাং স্মারকে চিঠি দেওয়া হয়। তিনিবলেন, কথিত চিকিৎসক ডাঃ সোহেল রানাকে তার ডাক্তারী সনদ নিয়ে তদন্ত কমিটির সামনেহাজির হতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তিনি হাজির না হয়ে সত্যায়িত ছাড়াই কাগজপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন।এটাসটেড ব্যতিত কাগজ আমি গ্রহন করিনি। সিভিল সার্জন বলেন, বন্ধ রাখার জন্য চিঠি দেওয়ারপরও যদি ক্লিনিক চলে সেটা আমি খতিয়ে দেখবো। মহেশপুরের নেপার মোড়ে অবস্থিত একতাক্লিনিকের মালিক মোহন লাল জানান, সিভিল সার্জন দপ্তরের কোন চিঠি আমি পায়নি। তাছাড়াউপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আনজুমান আরা বেগম ক্লিনিক বন্ধের বিষয়ে কিছুই বলেনি। তাইঅসহায় রোগীদের স্বার্থে ক্লিনিক চালু রেখেছি। এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাশ্বতশীল জানান, তিন ক্লিনিকে রোগী মারা গেছে এবং এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে এটা আমিজানি। তবে ক্লিনিক তিনটি বন্ধের ব্যাপারে আমাকে কিছুই বলা হয়নি। চিঠি পেলে আমি ব্যবস্থাগ্রহন করবো। মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আনজুমান আরা বেগমের কাছে এ বিষয়েফোন করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :