April 20, 2024, 5:14 pm

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে ধর্মের দোহাই দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায় একটি গোষ্ঠী

অনলাইন ডেস্ক।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন দল, গোষ্ঠী কিংবা সম্প্রদায়ের নয়। তিনি দেশের সম্পদ, স্বাধীনতার মহান স্থপতি। তাকে নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু এক অবিচ্ছেদ্য নাম। স্বাধীনতার অর্ধশত বছরে এসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা খুবই দুঃখজনক। শুধু বাংলাদেশ নয়, অন্যান্য মুসলমান দেশেও স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতীয় নেতাদের ভাস্কর্য রয়েছে।
ধর্মের দোহাই দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায় একটি গোষ্ঠী।
ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি জাতীয় উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করতে চক্রান্তের অংশবিশেষ। অপশক্তিকে আমরা রুখে দিব।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে কক্সবাজার জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গারা স্বাধীন নয় বলে তাদের অবস্থা দেখুন। কার কারণে আমরা স্বাধীন জাতির স্বীকৃতি পেলাম? কার অগ্রণী ভূমিকার কারণে মাথা উঁচু করে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি? আমাদের ভাবার সময় হয়েছে।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান’ শ্লোগানে সাগরপাড়ের কবিতা চত্ত্বরে প্রতিবাদে মিলিত হয়েছিলেন জেলার সর্বস্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, ভাস্কর্য নিয়ে ইসলামকে মুখোমুখি করা মোটেও সমীচীন নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের প্রেরণা। আমরা বঙ্গবন্ধুকে স্মৃতিতে বাঁচিয়ে রাখে চাই।
আগামি ১৬ ডিসেম্বর সমুদ্র সৈকতে বালুর ভাস্কর্য নির্মাণ করব। নিরবে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাবো। তা বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে চাই।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আমিন আল পারভেজের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-
জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার মোঃ জিল্লুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুবুর রহমান, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সুপার আতিকুর রহমান, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর পার্থ সারথি, কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, কামাল হোসেন চৌধুরী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক ফাহমিদা বেগম, কক্সবাজার জেলা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কান্তি পাল।
বক্তারা বলেন, আমরা নবীর আদর্শকে ধারণ করি। ইসলামের মূল নীতির সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই। জাতির জনককে সম্মান দেখানোর জন্যই ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা শ্রদ্ধা থাকবে। ভাস্কর্য হবে।
ধর্মান্ধ মানুষগুলো জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। ভাস্কর্য ও মূর্তি এক নয়। জাতির জনককে শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাকে স্মরণীয় রাখার জন্য ভাস্কর্য। আমাদের যাত্রা সমানে। কেউ থামাতে পারবে না। স্বাধীনতার মহানায়কের অসম্মান মেনে নেওয়া যায় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :