গ্রামের সড়ক নির্মাণে মাস্টারপ্ল্যানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

Padma Sangbad

অনলাইন ডেস্ক।
গ্রামের সড়ক ও অবকাঠামোর একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় একটি প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনার সময় তিনি এই নির্দেশ দেন।
প্রকল্পটি হলো ‘গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প : বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর’ প্রকল্প। আজ এই প্রকল্পের প্রথম সংশোধন অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়।
সংশোধনীতে প্রকল্পের খরচ ৩০৫ কোটি বাড়িয়ে ৯৫০ কোটি থেকে ১ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা করা হয়েছে।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্র প্রান্তে যুক্ত হয়ে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ দুপুরে ওই সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনেপরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরার সময় এ তথ্য জানান।
মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) খুবই গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন যে, আমরা অনেক কাজ করছি গ্রামীণ রাস্তা, গ্রামীণ অবকাঠামোর।
কাজগুলো সত্যিকার হচ্ছে কি না, কোয়ালিটিফুল (মানসম্মত) হচ্ছে কি না – সেগুলো ভালো করে পরখ করতে হবে। সেখানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেছেন, মাল্টিপ্লেয়ার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন। তারপরও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাজের কোয়ালিটি যেন ঠিক থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। রাস্তায় যেন পানি না জমে।
কারণ রাস্তায় পানি জমলে সেটা নষ্ট হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী আরেকটা মাস্টারপ্ল্যান করার কথা বলেছেন, কোন রাস্তা, কত রাস্তা, কোথায় করা হবে – সে বিষয়ে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে এই মাস্টার প্ল্যান তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সচিব। তিনি জানান, সড়ক, ত্রাণসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো এ কাজে অংশ নেবে।
‘ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন’ প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয় আজ।
এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এ প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘এই রাস্তাগুলো খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতি দ্রুত এগুলো করতে হবে। তবে অন্যান্য মন্ত্রণালয় যারা রাস্তা করে বা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটা করতে হবে। যাতে কোনো ওভারলেপিং না হয়। কোন কাজটুকু করতে হবে, কত কাজ বাকি থাকছে, কোন মন্ত্রণালয় করলে ভালো হয় –এগুলো সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। আগামী বর্ষা আসার আগেই যেন মূল কাজগুলো হয়ে যায়। তাতে সাশ্রয়ী হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Update Time : ১২:০২:৫১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০

গ্রামের সড়ক নির্মাণে মাস্টারপ্ল্যানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

Update Time : ১২:০২:৫১ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৮ নভেম্বর ২০২০

অনলাইন ডেস্ক।
গ্রামের সড়ক ও অবকাঠামোর একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় একটি প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনার সময় তিনি এই নির্দেশ দেন।
প্রকল্পটি হলো ‘গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প : বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর’ প্রকল্প। আজ এই প্রকল্পের প্রথম সংশোধন অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়।
সংশোধনীতে প্রকল্পের খরচ ৩০৫ কোটি বাড়িয়ে ৯৫০ কোটি থেকে ১ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা করা হয়েছে।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্র প্রান্তে যুক্ত হয়ে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ দুপুরে ওই সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনেপরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরার সময় এ তথ্য জানান।
মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) খুবই গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন যে, আমরা অনেক কাজ করছি গ্রামীণ রাস্তা, গ্রামীণ অবকাঠামোর।
কাজগুলো সত্যিকার হচ্ছে কি না, কোয়ালিটিফুল (মানসম্মত) হচ্ছে কি না – সেগুলো ভালো করে পরখ করতে হবে। সেখানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেছেন, মাল্টিপ্লেয়ার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন। তারপরও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাজের কোয়ালিটি যেন ঠিক থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। রাস্তায় যেন পানি না জমে।
কারণ রাস্তায় পানি জমলে সেটা নষ্ট হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী আরেকটা মাস্টারপ্ল্যান করার কথা বলেছেন, কোন রাস্তা, কত রাস্তা, কোথায় করা হবে – সে বিষয়ে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে এই মাস্টার প্ল্যান তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সচিব। তিনি জানান, সড়ক, ত্রাণসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো এ কাজে অংশ নেবে।
‘ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন’ প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয় আজ।
এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এ প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘এই রাস্তাগুলো খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতি দ্রুত এগুলো করতে হবে। তবে অন্যান্য মন্ত্রণালয় যারা রাস্তা করে বা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটা করতে হবে। যাতে কোনো ওভারলেপিং না হয়। কোন কাজটুকু করতে হবে, কত কাজ বাকি থাকছে, কোন মন্ত্রণালয় করলে ভালো হয় –এগুলো সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। আগামী বর্ষা আসার আগেই যেন মূল কাজগুলো হয়ে যায়। তাতে সাশ্রয়ী হবে।