চুয়াডাঙ্গা ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দশ বছর হদিস নেই, তবুও পদে বহাল সরকারি ডাক্তার!

Padma Sangbad

দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক।।
সময়ের পরিক্রমায় পেড়িয়ে গেছে প্রায় এক দশক। অথচ কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই দীর্ঘ এই সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪ চিকিৎসক। তারা এখন কোথায় আছেন, কী করছেন সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই কারো কাছে? এতো বছর পার হয়ে গেলেও চাকরিবিধি অমান্য করা ওই চার চিকিৎসকের কোনো হদিস নেই! তবে তাদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র বিভাগীয় মামলা দায়ের করেই দায় সেরেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সহকারী সার্জন (ইএমও) ডা. অরুন্ধুতী কুন্ডু ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট থেকে, সহকারী সার্জন (প্যাথলজি) ডা. গুলে তাজকীয়া ২০১১ সালের ১ জুন থেকে, বিলচলন ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক সহকারী সার্জন ডা. আরিফা সুলতানা ২০১০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবং শীতলাই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদুল হক খান ২০১০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মস্থলে কোনো ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন। বার বার তাদের ঠিকানায় অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিঠি দিলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। পরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে চাটমোহর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের তালিকায় এখনও শোভা পাচ্ছে চাকরিবিধি অমান্য করা ওই চার চিকিৎসকের নাম। বাস্তবে তারা কোথায় আছেন সে সংবাদও তাদের সহকর্মীরা জানেন না। তবে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ওই চার জন চিকিৎসকের সবাই দেশের বাইরে আছেন। এদের মধ্যে ডা. রাশেদুল হক সপরিবারে আমেরিকায় এবং ডা. অরুন্ধুতী কুন্ডু পরিবারের সাথে ভারতে অবস্থান করছেন। তবে অন্য দু’জন কোন দেশে অবস্থান করছে সেটা জানা যায়নি।
একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলের বাইরে থাকতে পারেন কি না এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন সুশীল সমাজের লোকজন।
বিষয়টি জানার পর ক্ষোভ প্রকাশ করে চাটমোহর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ মাস্টার বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার। আমি অতিসত্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করব।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক বুলবুল বলেন, চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে বলে জেনেছি। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।।

আপডেট : ১০:২৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০

দশ বছর হদিস নেই, তবুও পদে বহাল সরকারি ডাক্তার!

আপডেট : ১০:২৯:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০

দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক।।
সময়ের পরিক্রমায় পেড়িয়ে গেছে প্রায় এক দশক। অথচ কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই দীর্ঘ এই সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪ চিকিৎসক। তারা এখন কোথায় আছেন, কী করছেন সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই কারো কাছে? এতো বছর পার হয়ে গেলেও চাকরিবিধি অমান্য করা ওই চার চিকিৎসকের কোনো হদিস নেই! তবে তাদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র বিভাগীয় মামলা দায়ের করেই দায় সেরেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সহকারী সার্জন (ইএমও) ডা. অরুন্ধুতী কুন্ডু ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট থেকে, সহকারী সার্জন (প্যাথলজি) ডা. গুলে তাজকীয়া ২০১১ সালের ১ জুন থেকে, বিলচলন ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক সহকারী সার্জন ডা. আরিফা সুলতানা ২০১০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে এবং শীতলাই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদুল হক খান ২০১০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মস্থলে কোনো ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন। বার বার তাদের ঠিকানায় অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিঠি দিলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। পরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে চাটমোহর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের তালিকায় এখনও শোভা পাচ্ছে চাকরিবিধি অমান্য করা ওই চার চিকিৎসকের নাম। বাস্তবে তারা কোথায় আছেন সে সংবাদও তাদের সহকর্মীরা জানেন না। তবে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ওই চার জন চিকিৎসকের সবাই দেশের বাইরে আছেন। এদের মধ্যে ডা. রাশেদুল হক সপরিবারে আমেরিকায় এবং ডা. অরুন্ধুতী কুন্ডু পরিবারের সাথে ভারতে অবস্থান করছেন। তবে অন্য দু’জন কোন দেশে অবস্থান করছে সেটা জানা যায়নি।
একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়ে অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলের বাইরে থাকতে পারেন কি না এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন সুশীল সমাজের লোকজন।
বিষয়টি জানার পর ক্ষোভ প্রকাশ করে চাটমোহর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ মাস্টার বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার। আমি অতিসত্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করব।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক বুলবুল বলেন, চার চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান রয়েছে বলে জেনেছি। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।।