চুয়াডাঙ্গা ০৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষুধা দারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধজয়ী ঝিনাইদহের ১৫ নারী

Padma Sangbad

শাহ আলম কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ):
দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করেই শৈশব আর কৈশর পার করেছে তারা। শৈশব কৈশরের প্রতিটা দিন কাটাতে হয়েছে খেয়ে না খেয়ে। অভাবের সংসারের স্বাস্থ্যসেবা আর শিক্ষা কি তা ছিল সোনার হরিণের মতোই। ফলে অভাব অনটনের মধ্যে খুব অল্প বয়সে বিয়ের পিড়িতে বসতে হয়েছে তাদের। তারপরও তাদের সবার চোখেই স্বপ্ন ছিল স্বামীর সংসারে হয়তো সুখের দেখা মিলবে। স্বামীর সংসারে গিয়েও আবার যুদ্ধ সেই দারিদ্রতার সাথে। কিন্তু তারা এ যুদ্ধে কেউ হেরে যায়নি। যুদ্ধ জয় করে তারা এখন সবাই স্বাবলম্বী। প্রায় একই রকম গল্প ছিল সবারই। এরকম ১৫ ক্ষুধা জয়ীকে খুঁজে বের করেছে হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড নামের একটি সংগঠন। এদের সবার বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেকসব উন্নয়ন, জৈব চাষ, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, পরিবেশ সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন তথা আর্থ সামাজিক উন্নয়ন এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র অবসানে অবদান রেখে চলেছে। ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ বিনির্মানে এসব নারীদের সম্মননা প্রদান করবে জাপান ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড। আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে জেলার কালীগঞ্জ শহরের বলিদাপাস্থ সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে সম্মাননা স্বরুপ ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড প্রতিবছর সমাজের বিভিন্ন ভাবে অবদান রাখায় সম্মাননা স্বরুপ এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এবার শত বাধা পেরিয়ে ক্ষুধাকে জয় করার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরের রেনুকা আক্তার, মস্তবাপুরের মারুফা খাতুন ও তহমিনা বেগম, অনুপমপুরের মুন্নি ও জোসনা বেগম, মহেশ^রচাদার মঞ্জুরা রানী, মল্লিকপুরের স্বপ্না খাতুন ও রুপভান বেগম, আগমুন্দিয়ার ফারহানা বেগম, বলরামপুরের আসমানি দেবনাথ ও রেকসনা বেগম, ভোলপাড়ার ফাতেমা বেগম, হরিগোবিন্দপুরের আসমা বেগম এবং আড়–য়াশলুয়ার রিজিয়া ও রিনা বেগমকে নির্বাচিত করে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।

আপডেট : ০৭:০৩:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০

ক্ষুধা দারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধজয়ী ঝিনাইদহের ১৫ নারী

আপডেট : ০৭:০৩:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০

শাহ আলম কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ):
দারিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করেই শৈশব আর কৈশর পার করেছে তারা। শৈশব কৈশরের প্রতিটা দিন কাটাতে হয়েছে খেয়ে না খেয়ে। অভাবের সংসারের স্বাস্থ্যসেবা আর শিক্ষা কি তা ছিল সোনার হরিণের মতোই। ফলে অভাব অনটনের মধ্যে খুব অল্প বয়সে বিয়ের পিড়িতে বসতে হয়েছে তাদের। তারপরও তাদের সবার চোখেই স্বপ্ন ছিল স্বামীর সংসারে হয়তো সুখের দেখা মিলবে। স্বামীর সংসারে গিয়েও আবার যুদ্ধ সেই দারিদ্রতার সাথে। কিন্তু তারা এ যুদ্ধে কেউ হেরে যায়নি। যুদ্ধ জয় করে তারা এখন সবাই স্বাবলম্বী। প্রায় একই রকম গল্প ছিল সবারই। এরকম ১৫ ক্ষুধা জয়ীকে খুঁজে বের করেছে হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড নামের একটি সংগঠন। এদের সবার বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে টেকসব উন্নয়ন, জৈব চাষ, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, পরিবেশ সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন তথা আর্থ সামাজিক উন্নয়ন এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র অবসানে অবদান রেখে চলেছে। ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ বিনির্মানে এসব নারীদের সম্মননা প্রদান করবে জাপান ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড। আজ বুধবার (২৫ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে জেলার কালীগঞ্জ শহরের বলিদাপাস্থ সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে সম্মাননা স্বরুপ ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড প্রতিবছর সমাজের বিভিন্ন ভাবে অবদান রাখায় সম্মাননা স্বরুপ এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এবার শত বাধা পেরিয়ে ক্ষুধাকে জয় করার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুরের রেনুকা আক্তার, মস্তবাপুরের মারুফা খাতুন ও তহমিনা বেগম, অনুপমপুরের মুন্নি ও জোসনা বেগম, মহেশ^রচাদার মঞ্জুরা রানী, মল্লিকপুরের স্বপ্না খাতুন ও রুপভান বেগম, আগমুন্দিয়ার ফারহানা বেগম, বলরামপুরের আসমানি দেবনাথ ও রেকসনা বেগম, ভোলপাড়ার ফাতেমা বেগম, হরিগোবিন্দপুরের আসমা বেগম এবং আড়–য়াশলুয়ার রিজিয়া ও রিনা বেগমকে নির্বাচিত করে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।