রোকনুজ্জামান কুষ্টিয়া প্রতিনিধি॥
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়ে স্থাপিত বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে কোনো এক সময়ে এ ঘটনা ঘটে। সকালে ভাস্কর্য ভাঙচুরের স্থান পরিদর্শন করেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম খান। বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়া মহা বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপ্যাল হারন-উর রশিদ, নাইট গার্ড ও কয়া আওয়ামীগ নেতা চুন্নুকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম খাঁন জানান, কে বা কারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ তদন্তের কাজ শুরু করেছে। দোষীদের খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে। বর্তমানে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এরআগে, গত শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুজেট সংগ্রহ করে পুলিশ। পরদিন শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার দুই ছাত্র ও তাদের সহযোগী দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে। প্রসঙ্গত, ৩৬ বছর বয়সে ১৯১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে নিহত হন বিপ্লবী বাঘা যতীন। ব্রিটিশ ভারতে বাঙালিসহ ভারতবর্ষের সব জাতিসত্তার স্বাধীনতার সংগ্রাম ছিল এক সূত্রে গাঁথা। প্রধান লক্ষ্য ছিল ইংরেজদের বিতাড়ন করা। আর ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে যারা স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করেছেন, যাদের আত্মদান ইংরেজ শাসকদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে, তাদের অন্যতম বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। যিনি ‘বাঘা যতীন’ নামে বেশি পরিচিত। দেশমাতৃকার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা, অপরিসীম সাহস তাকে অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের প্রথম সারিতে স্থান দিয়েছে।
Leave a Reply