আজ ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমার সরকার মানুষের সেবক: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার সরকার মানে মানুষের সেবক। সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি মোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রেরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যেদিন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে শপথ নিই, সেদিনই বলেছিলাম আমি মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করব। প্রধানমন্ত্রীত্ব আর কিছু না, প্রধানমন্ত্রীত্ব আমার কাছে এটা যে, আমি কাজ করার সুযোগটা পাচ্ছি। কাজ করার ক্ষমতাটা পাচ্ছি। কাজেই সেই মানুষের জন্য কাজ করব, মানুষের সেবা করব। আমার সরকার মানে মানুষের সেবক। সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই।
২০০৭ সালে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সর্বপ্রথম আমাকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যদিও আমি বিরোধী দলে ছিলাম, তারপরও। সাধারণত আমাদের দেশে সেটা হয়না। সব সময় দেখা যায় যারা ইমার্জেন্সি দিয়েছে, তারা ক্ষমতায় যে থাকে তাকেই ধরে। কিন্তু সেই সময় আমাকে আগে ধরল।
গ্রেপ্তারের পর ভবিষ্যতে দেশকে কিভাবে উন্নত, সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তোলা যায় কারাগারে বসেই সেই পরিকল্পনা করেছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি বসে থাকিনি। ওই কারাগারে যখন ছিলাম, প্রথম যখন গেলাম, তখনই আমি চিন্তা করলাম যে একদিন না একদিন তো এখান থেকে মুক্তি পাব, দেশের জন্য কাজ করব। তাহলে কি কাজ করব, কোন সালে কি করব, খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করা, স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করা, মানুষের স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপন নিশ্চিত করা, শিক্ষার হার বাড়ানো, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া, এইসব বসে বসে চিন্তা করে করে আমি লিখে রাখতাম।
এরপর ২০০৮ সালে মুক্তি পেয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সময় নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করতে গিয়ে সেইসব পরিকল্পনাসহ অন্যান্য পরিকল্পনা যুক্ত করে ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা দেওয়ার কথা জানান সরকার প্রধান।
আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস রেখে তাদের বারবার ভোট দিয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ দেওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যে সমস্ত ভাতাগুলো দিচ্ছি এটা যেন যথাযথ সঠিকভাবে যে মানুষটাকে আমরা দেব তার হাতে পৌঁছায়। মাঝে যেন আর কেউ না থাকে। তাদের অর্থটা তাদের হাতে যাবে। তাদের যেভাবে খুশি তারা সেভাবে ব্যবহার করবে। সেটার ব্যবস্থা করতে দীর্ঘদিন ধরে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি সেই ব্যবস্থাটা আপনারা নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন বয়স্কভাতা শুরু করি আমি এভাবে হিসাব করেছিলাম যে, কেউ ভাতার উপর শুধু নির্ভরশীল হোক সেটা আমরা চাই না। ভাতা পাবে কিন্তু যার কর্মক্ষমতা আছে সে নিজে কিছু কাজও করবে, একেবারে ঘরে বসে থাকবে না। যেন অন্তত ১০ কেজি চাল কিনতে পারে সেই হিসাবে আমরা ভাতা দেওয়া শুরু করি। তখন ১০ টাকায় এক কেজি চাল পাওয়া যেত। তাই আমরা ১০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া শুরু করি। এখন সেটা বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে, যা আগের চেয়ে সংখ্যায় বেশি সংখ্যক লোক পাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সময় সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও চাঁদপুর, পিরোজপুর, লালমনিরহাট ও নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রান্তে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপকারভোগী, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :