দর্শনায় কেরুজ চুক্তিভিত্তিক ইক্ষু সংগ্রহ বিতাড়িত শ্রমিক কর্মচারি কর্মীদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক।
শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কোটি টাকার অর্থ-বাণিজ্য কারনে চাকুরীচ্যুত ওরা ৪২ জন চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক।
দর্শনায় কেরু এন্ড ইক্ষু সংগ্রহ বিভাগের কর্মরত ৪২ জন কর্মীকে একসাথে চাকুরীচ্যুত করায় দর্শনা রেলবাজারে মানব বন্ধন করেছে ইক্ষু সংগ্রহ বিতাড়িত শ্রমিক কর্মচারীবৃন্দ।
আজ শনিবার সকাল ১০ টার দিকে দর্শনা রেল বাজার বটতলা চত্বরে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ইক্ষু সংগ্রহ বিতাড়িত শ্রমিক কর্মচারীবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইক্ষু সংগ্রহ বিতাড়িত শ্রমিক কর্মচারীবৃন্দরা।
শান্তিপ্রিয় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা দৈনিক পদ্মা সংবাদকে বলেন , আমাদের অতি বিলম্বের চাকরিচ্যুতদের কাজে পুনর্বহাল করা হোক। চাকুরীচ্যুত অপচেষ্টার প্রতিবাদে আয়োজিত এই মানববন্ধন থেকে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।
আমরা ১৫ বছর অধিক কেরু এন্ড কোং ইক্ষু সংগ্রহ বিভাগে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০২০-২১ মাড়াই মৌসুম চলতি ৩৯ দিন কর্মদিবস থাকা অবস্থায় আমাদের ৪২ জনকে চাকরি থেকে বিতাড়িত করা হয় । এরই প্রেক্ষিতে মানব বন্ধন করছি আমরা । বর্তমানে আমরা চাকুরী হারিয়ে অসহায় জীবন যাপন করিতেছি। কেরু এন্ড কোং শ্রমিক ইউনিয়ন আমাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন নতুন শ্রমিক দিয়ে আমাদের কর্ম স্থলে তাদেরকে যােগদান করে। সেই সাথে আমাদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হয় । আমরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কাছে দাবি জানাইতেছি কেরু এন্ড কোং শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কারসাজি ও শ্রমিকদের থেকে অর্থ-বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিচার করা হােক।গত ১৫ বছর হতে ২০ বছর যাবৎ চাকুরী আমাদের পরিবার পরিজনের একমাত্র অবলম্বন ছিল তা হারিয়ে আমরা পথে । আমাদের এই মানব বন্ধন চাকুরী ফিরিয়ে পাইবার জন্য ।
বক্তারা আরও বলেন-
(১)নতুন লােক নিতে হলে নিয়ােগের প্রয়ােজন।
(২)সমন্বয় করতে হলে কর্মরত শ্রমিকদেরকে বা চুক্তিভিত্তিক লোক জনকে সমন্বয় করতে পারে ।
(৩)প্রতি বছরের রােস্টারের নামের সাথে চুক্তিভিত্তিক হিসাবে কাজ করার হুকুম দিতো এবং মাসিত বেতন থেকে ১০০ / – টাকা করে কাটা হতাে ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প বাবদ ১০ টাকা করে কাটা হতো ।
(৪) ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রােস্টারগুলাে চুক্তিভিত্তিক আউট স্টেশন গার্ড হিসাবে পােষ্টিং দিতো কিন্তু পরবর্তীতে ২০১৭-২০১৮ মৌসুম থেকে ইউনিয়নের পরামর্শে ম্যানেজমেন্ট দৈনিক হাজিরায় দেখানাের তালিকা তৈরী করে ।
(৫) কর্মদক্ষতার উপরে শিক্ষাগত যােগ্যতার ভিত্তিকে ইক্ষু সংগ্রহ বিভাগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়ােগ দেয়া হতাে এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্মসম্পন্ন করা হতাে ।
(৬) শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ম্যানেজমেন্ট , ২০১৯-২০ মাড়াই মৌসুম এর শেষ মুহুর্তে জানতে পাই কিছু সংখ্যক নতুন শ্রমিক শূন্যস্থান পারমানেন্ট করা হয়েছে এবং অর্থ বাণিজ্য হয়েছে ।
(৭) পরবর্তীতে ২০২০-২১ মাড়াই মৌসুমে ৩৯ কর্ম দিবস থাকা অবস্থায় আমাদের এবং সকল শ্রমিক কর্মচারীকে বিতাড়িত করা হয় এবং কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের বলা হয় যে , আমরা নতুন শ্রমিক ইউনিয়নকে ১০ লক্ষ , ৭ লক্ষ , ৫ লক্ষ , ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে আমরা কিছু শ্রমিক পারমানেন্ট করা হয়েছে ।
এই কাজের স্থলে যদি আপনাদের দেখি তাহলে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি দেওয়া হয় । সেই থেকে আমারা ৪২ জন কর্মহারিয়ে পথে বসেছি । চাকরিচ্যুতির এই অপকৌশল গ্রহণ করছে বলে মন্তব্য করেন।তথাপি নিয়ম বর্হিভ‚তভাবে এই সকল কর্মীকে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। যা এই করোনা কালীন দুঃসময়ে অনাকাঙ্খিত ও অমানবিক।
আমাদের পরিবার পরিজনের একমাত্র চাকুরী অবলম্বন ছিল । আমাদের সম্মানের থেকে চাকুরী ফিরিয়ে পাইবার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি । আমাদের চাকুরী ফিরিয়ে পাইবার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হােক এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয়ের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার করা হোক । বিনীত ইক্ষু সংগ্রহ বিভাগ বিতাড়িত শ্রমিক কর্মচারীবৃন্দ পক্ষে মোঃ এহ সানুলহক রাজীব।।