তাওহীদুল হক চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি।
নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের সাথে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কোম্পানীগঞ্জ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ লাঠিচার্জ ও ফাঁকাগুলি বর্ষণ করে। এতে দুই গ্রুপের অন্তত ৩ জনসহ স্থানীয় এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়। আহত হয় প্রায় ৩৫ জনের অধিক। আহতদের কোম্পানীগঞ্জে বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (সন্ধ্য সাড়ে ৭টা) আহতদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১৯ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারের তরকারি বাজারে এই সংঘষের ঘটনা ঘটে।
সংঘষে গুলিবিদ্ধরা হচ্ছে, সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মোজাক্কের (২৮), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামের আবদুল ওয়াহিদের ছেলে সাইদুর রহমান (২৬), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলামের ছেলে নুরুল অমিত (২০) ও বসুরহাট পৌরসভার আবুল কালামের ছেলে রায়হান (২০)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা ১৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের কমিটি ভেঙ্গে দিলে আ’লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত ঘটে। এদিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মির্জানুর রহমান বাদল, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মির্জা কাদেরের মিথ্যাচারের প্রতিবাদে চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশীরহাট বাজারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়। পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশীরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে কাদের মির্জার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাদের মির্জা উপস্থিত হলে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। পরবর্তীতে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply