ভাঙ্গা সংসার জোড়া লাগালেন পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি।
মোছাঃ শারমিন আক্তার (২০), পিতা-আব্দুর রউফ, গ্রাম-বিষ্ণুপুর, থানা-দামুড়হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর সাথে অনুমান ২ বছর পূর্বে মোঃ আব্দুর রউফ (২৪), পিতা-আব্দুর রহমান, সাং-বিষ্ণুপুর, থানা-দামুড়হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে আর্থিক ও পারিবারিক বিভিন্ন কারনে মোঃ আব্দুর রঊফ তার স্ত্রী শারমিন আক্তারের সাথে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে মোঃ আব্দুর রঊফ তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। শারমিন আক্তার স্বামীর দূর্ব্যবহার সহ্য করতে না পেরে পিতার বাড়ীতে চলে যায় এবং বিষয়টি পারিবারিকভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে। মোঃ আব্দুর রঊফ তার স্ত্রীর খোজ খবর নেওয়া ও ভরণ পোষন দেওয়া বন্ধ করে দেয় এবং ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। যৌতুকের টাকা না পেলে শারমিন’কে তালাক দেওয়ার হুমকি দেয়। অবশেষে শারমিন আক্তার তার অসহায়ত্ব থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মহোদয়ের নিকট আসেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মহোদয় উক্ত বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার কার্যালয়ে অবস্থিত জেলা “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার” এর দায়িত্ব প্রাপ্ত এএসআই (নিরস্ত্র) মিতা রানী’কে দায়িত্ব দেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোঃ আব্দুর রঊফ তার স্ত্রী মোছাঃ শারমিন আক্তার’কে পুনরায় নিজ বাড়ীতে ফিরিয়ে নিয়ে সংসার করতে এবং তার ভরণ পোষন দিতে সম্মত হয়। অবশেষে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর হস্তক্ষেপে মোছাঃ শারমিন আক্তার ফিরে পেল তার সুখের সংসার।