চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ট্রাক্টর চাপায় অহিদুল ইসলাম (৪৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে তার সাত বছরের ছেলে রহিদ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান জীবননগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিম লিংকন। তবে সেখানে জনরোষের মুখে পড়েন তিনি।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) উপজেলার কাটাপোল-মিনহাজপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, ওই এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। এ নিয়ে তাদেরকে জরিমানা করা হয়। এমনকি প্রশাসন থেকে বালু উত্তোলন না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে বালু উত্তোলন করছিল ওই চক্রটি।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ট্রাক্টর চাপায় পিষ্ট হয়ে এক কৃষক মারা যান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ইউএনও মুনিম লিংকন। কিন্তু সেখানে নামার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাকে ধাওয়া দেয়। এ সময় তিনি দৌড়ে এক বাড়িতে আশ্রয় নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইউএনওকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘বালি উত্তোলনকারী চক্রটি স্থানীয় জনগণকে প্রশাসনের পদক্ষেপের ব্যাপারে ভুল ম্যাসেজ দিয়ে তাদেরকে ইউএনওর বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলেন। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে হত্যা ও রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দানের অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়েছে।’চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের ধরতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আবু রাসেল ও পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন) তারেক আহমেদ ঘটনাস্থলে গেছেন। জড়িতদের ধরতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
মুনিম লিংকন জানান, ঘটনাস্থলে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় একটি ইট তার মাথায় লাগে। অবস্থার ভয়াবহতা বুঝে দৌড়ে জমির উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। ওই বাড়িতেও হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা।
জীবননগর থানা পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন,ইউএনও মহোদয়ের পাঁচ মিনিট আগে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। আমি বিক্ষুব্ধ লোকজনকে শান্ত করার চেষ্টা করি। কিন্তু উত্তেজিত লোকজন তার ওপর হামলা চালান।।
Leave a Reply