চুয়াডাঙ্গায় ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজের প্রত্যাহার দাবীতে আইনজীবীদের আদালত বর্জন

Padma Sangbad

দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক ।।
চুয়াডাঙ্গা আদালতে আইনজীবী ও জজশীপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ তুলেছে দু’পক্ষ। হামলার অভিযোগ এনে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বজলুর রহমানের প্রত্যাহারের দাবীতে আদালত বর্জন করেছে আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেমে গেছে আদালতের সকল কার্যক্রম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের এক কর্মচারীর বদলির বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ) বজলুর রহমানের অফিসে যায় কয়েকজন আইনজীবী। এসময় আইনজীবীদের সাথে বিচারকের মত পার্থক্য তৈরি হলে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় আদালতের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচীরার বিচারকের কার্যালয়ে গেলে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এরপর আইনজীবীর এক সহকারীকে আটকের খবরে আবারও উত্তপ্ত হয় আদালত প্রাঙ্গণ। আইনজীবীরাও বাঁশ লাঠি নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়। এসময় পুলিশ তাদেরকে শান্ত করে।
এঘটনার পর জেলা আইনজীবী সমিতির এক জরুরী সভায় ওই বিচারকের প্রত্যাহার দাবী করে আদালত বর্জনের ঘোষনা দেন তারা।
আইনজীবীরা জানায়, সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বিচারকের কাছে গেলে সেখানে আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে দুই আইনজীবী আহতও হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আলগীর হোসেন জরুরী সভায় বলেন, ‘আমাদের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে একইসাথে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বজলুর রহমানকে প্রত্যাহার করতে হবে। এ দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল আদালত বর্জন করা হলো।’
এ বিয়য়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বজরুল রহমানের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবোনা।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির ওসমান গণি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কর্মচারীর বদলির বিষয় নিয়ে আইনজীবীরা বিচারকের কার্যালয়ে গিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরন করে। এসময় তারা বিচারকের টেবিলেও ভাঙচুর চালায়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আইনজীবীদের একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কাজ করছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Update Time : ১০:৫৫:১৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১

চুয়াডাঙ্গায় ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজের প্রত্যাহার দাবীতে আইনজীবীদের আদালত বর্জন

Update Time : ১০:৫৫:১৮ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৮ মার্চ ২০২১

দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক ।।
চুয়াডাঙ্গা আদালতে আইনজীবী ও জজশীপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ তুলেছে দু’পক্ষ। হামলার অভিযোগ এনে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বজলুর রহমানের প্রত্যাহারের দাবীতে আদালত বর্জন করেছে আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেমে গেছে আদালতের সকল কার্যক্রম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের এক কর্মচারীর বদলির বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ) বজলুর রহমানের অফিসে যায় কয়েকজন আইনজীবী। এসময় আইনজীবীদের সাথে বিচারকের মত পার্থক্য তৈরি হলে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় আদালতের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচীরার বিচারকের কার্যালয়ে গেলে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এরপর আইনজীবীর এক সহকারীকে আটকের খবরে আবারও উত্তপ্ত হয় আদালত প্রাঙ্গণ। আইনজীবীরাও বাঁশ লাঠি নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়। এসময় পুলিশ তাদেরকে শান্ত করে।
এঘটনার পর জেলা আইনজীবী সমিতির এক জরুরী সভায় ওই বিচারকের প্রত্যাহার দাবী করে আদালত বর্জনের ঘোষনা দেন তারা।
আইনজীবীরা জানায়, সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বিচারকের কাছে গেলে সেখানে আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে দুই আইনজীবী আহতও হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আলগীর হোসেন জরুরী সভায় বলেন, ‘আমাদের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে একইসাথে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বজলুর রহমানকে প্রত্যাহার করতে হবে। এ দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল আদালত বর্জন করা হলো।’
এ বিয়য়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বজরুল রহমানের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবোনা।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির ওসমান গণি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কর্মচারীর বদলির বিষয় নিয়ে আইনজীবীরা বিচারকের কার্যালয়ে গিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরন করে। এসময় তারা বিচারকের টেবিলেও ভাঙচুর চালায়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আইনজীবীদের একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কাজ করছে।