অনলাইন ডেস্ক ।।
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই বিজেপি, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর সমালোচনা করে চলেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের প্রধান মমতা ব্যানার্জি। ভোটের জন্য রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তেমনি ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিং’ (ইভিএম) কারচুপির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন মমতা। তার কথা ষড়যন্ত্র চলছে তবে মাঠ ছাড়ছি না। গতকাল পুরুলিয়া জেলার অন্তর্গত পাড়া, কাশীপুর ও রঘুনাথপুর- এর জনসভা থেকে জনগণের ভোট রক্ষা করার জন্য দলের নির্বাচনী এজেন্টদের সতর্ক করে দেন মমতা। মমতা এদিনও বলেন, ‘বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না। খেলা হবে। আমার একটা পা-ই যথেষ্ট। একটা পা দিয়ে বলে এমন মারব, যে মাঠের বাইরে বের করে দেব। দিল্লি থেকে হাওয়া হয়ে যাবে। আর কোনোদিন ভোট চাইতে আসবে না। ’ স্ট্রংরুমের নিরাপত্তা নিয়েও দলীয় এজেন্টদের সতর্ক করে মমতা বলেন, ‘ভোট হয়ে গেলে ভোটের মেশিন পাহারা দিতে হবে যদি দিল্লির পুলিশগুলো এসে বলে আপনারা সরে যান, আমরা দেখে নিচ্ছি, কিন্তু আপনাদের অধিকার ছাড়বেন না। কেন্দ্রীয় বাহিনীও থাকবে, আপনারা থাকবেন। নিজের মেশিন নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে। ওই মেশিন রক্ষা করার সময়ে কেউ যদি বিরিয়ানি দেয় খাবেন না। কারণ ওতে বিষ মিশিয়ে দেবে কিংবা মাদক বা ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেবে। এক কাপ চা দিলেও তা খাবেন না। কারণ আপনি খেলেন আর ঘুমিয়ে পড়বেন আর বিজেপি ভোট মেশিনগুলো নিয়ে পালিয়ে যাবে। আপনারা এই ভুলটা করবেন না। দরকার হলে বাড়ি থেকে রুটি তরকারি নিয়ে আসবেন বা ডাল-ভাত খাবেন। কিন্তু বিজেপির হাতের খাবার খাবেন না। ’ তার প্রশ্ন রাজ্যের সরকারের সব প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন হবে না কেন? উত্তর প্রদেশ ও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো থেকে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে কেন? ভোট দখল করার জন্য?’
মমতার অভিযোগ ‘ওরা আমাকে অনেক মেরেছে। চোখে, মাথায়, বুকে আঘাত করেছে। বাকি ছিল পা। সেটাও জখম করেছে। আমাকে ভয় পাচ্ছিল, ভাবছিল নির্বাচনে মমতা বেরোলে বিজেপি গোহারা হারবে। তাই ওর পা-টা জখম করে দিই। কিন্তু আমি মরতে ভয় পাই না। আমি ভাঙি, তবু মচকাই না।। ’
Leave a Reply