চুয়াডাঙ্গা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে যৌতুকলোভী স্বামীর নির্যাতনে অজ্ঞান স্ত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ

Padma Sangbad

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
সারা শরীরের কালশিটে দাগ। চোখের কোনায় জমাট বাধা রক্ত। মুখগহব্বরে গভীর ক্ষত নিয়ে বাকরুদ্ধ। মুমুর্ষ অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে কাঁতরাচ্ছেন দুই সন্তানের জননী শারমিন আক্তার। মাদকাসক্ত স্বামী শিমুল জোয়ারদারের অকথ্য নির্যাতনে তিনি গুরুতর অসুস্থ। শরীরের এমন কোন স্থান নেই যেখানে আঘাত করা হয়নি। যৌতুক ও মাদকাসক্ত স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ ও নিয়মিত নেশার টাকা দিতে না পারায় এমন নিষ্ঠুর ও নির্দয় ভাবে মারধর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামে। শারমিন আক্তার ঝিনাইদহ শহরের বুলু মিয়া সড়কের কাজী কবির ইসলামের মেয়ে। শারমিন অভিযোগ করেন, নয় বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতনের মাঝেও শিশু সন্তান খুশবু ও আব্দুল্লাহর মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর ভিটে আঁকড়ে ছিলাম। সম্প্রতি আরো যৌতুকের জন্য স্বামী শিমুল জোয়ারদার চাপ দিতে থাকে। সেই সঙ্গে শারমিনের শ্বশুর আব্দুর রহিম জোয়ারদারও বকাঝকা ও মরধর করতেন। কিন্তু আমার পিতা অতিশয় গরীব। মেয়ের সুখ-শান্তির কারণে বিয়ের সময় দুই লাখ ও বিয়ের ছয় মস পরে আরো এক লাখ টাকা প্রদান করেছিলেন। এদিকে টাকা না দেওয়ায় পরিবারের প্ররোচনায় গ্রামেই আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে শিমুল। শারমিন অভিযোগ করেন, সংসারে সতীন আসার কারণে আমার উপর নির্যাতন আরো বেড়ে যায়। গত বুধবার রাতে শিমুল জোয়ারদার ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাগরিকা আক্তর বুলবুলি আমার রুমে ঢুকে বেধড়ক মারপিট করে। সতীন বুলবুলি আমাকে ধরে রাখে আর স্বামী শিমুল ও দেবর রাজু জোয়ারদার মারপিট করতে থাকে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই পলাশ আমাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে শনিবার ঝিনাইদহ সদর থানায় নির্যাতিত গৃহবধু শারমিন আক্তার একটি এজাহার করেছেন। ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই পলাশ ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, মেয়েটিকে আমি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তার উপর অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বলেন মামলা রেকর্ড হলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপডেট : ০৭:৪১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১

ঝিনাইদহে যৌতুকলোভী স্বামীর নির্যাতনে অজ্ঞান স্ত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ

আপডেট : ০৭:৪১:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
সারা শরীরের কালশিটে দাগ। চোখের কোনায় জমাট বাধা রক্ত। মুখগহব্বরে গভীর ক্ষত নিয়ে বাকরুদ্ধ। মুমুর্ষ অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে কাঁতরাচ্ছেন দুই সন্তানের জননী শারমিন আক্তার। মাদকাসক্ত স্বামী শিমুল জোয়ারদারের অকথ্য নির্যাতনে তিনি গুরুতর অসুস্থ। শরীরের এমন কোন স্থান নেই যেখানে আঘাত করা হয়নি। যৌতুক ও মাদকাসক্ত স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ ও নিয়মিত নেশার টাকা দিতে না পারায় এমন নিষ্ঠুর ও নির্দয় ভাবে মারধর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামে। শারমিন আক্তার ঝিনাইদহ শহরের বুলু মিয়া সড়কের কাজী কবির ইসলামের মেয়ে। শারমিন অভিযোগ করেন, নয় বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতনের মাঝেও শিশু সন্তান খুশবু ও আব্দুল্লাহর মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর ভিটে আঁকড়ে ছিলাম। সম্প্রতি আরো যৌতুকের জন্য স্বামী শিমুল জোয়ারদার চাপ দিতে থাকে। সেই সঙ্গে শারমিনের শ্বশুর আব্দুর রহিম জোয়ারদারও বকাঝকা ও মরধর করতেন। কিন্তু আমার পিতা অতিশয় গরীব। মেয়ের সুখ-শান্তির কারণে বিয়ের সময় দুই লাখ ও বিয়ের ছয় মস পরে আরো এক লাখ টাকা প্রদান করেছিলেন। এদিকে টাকা না দেওয়ায় পরিবারের প্ররোচনায় গ্রামেই আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে শিমুল। শারমিন অভিযোগ করেন, সংসারে সতীন আসার কারণে আমার উপর নির্যাতন আরো বেড়ে যায়। গত বুধবার রাতে শিমুল জোয়ারদার ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাগরিকা আক্তর বুলবুলি আমার রুমে ঢুকে বেধড়ক মারপিট করে। সতীন বুলবুলি আমাকে ধরে রাখে আর স্বামী শিমুল ও দেবর রাজু জোয়ারদার মারপিট করতে থাকে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই পলাশ আমাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে শনিবার ঝিনাইদহ সদর থানায় নির্যাতিত গৃহবধু শারমিন আক্তার একটি এজাহার করেছেন। ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই পলাশ ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, মেয়েটিকে আমি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তার উপর অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বলেন মামলা রেকর্ড হলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।