চুয়াডাঙ্গা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯, নিখোঁজ ৭

Padma Sangbad

অনলাইন ডেস্ক।
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবিতে নারী-শিশুসহ ২৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; এখনও সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ২৯ জনের পরিচয় জানা যায়নি। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করছে ফায়ার সার্ভিস এবং মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধার করা হয়। এরপরই লঞ্চটির ভেতর থেকে মরদেহ বের করতে শুরু করেন উদ্ধারকারীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক জানান, উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করে মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা শনাক্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেবে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঢাকার সহকারী পরিচালক সালেহ উদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসন সমাপ্ত ঘোষণা করলেও আমাদের কার্যক্রম বিকেল পর্যন্ত চলবে। ইতোমধ্যে আমরা ২৯টি মরদেহ উদ্ধার করেছি।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, নিখোঁজের সন্ধানে নদীতে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে নৌ-পুলিশকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী লাইটার জাহাজাটি খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার (৪ এপ্রিল) সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় সাবিত আল আসাদ নামের লঞ্চটি একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়।
নারায়নগঞ্জ নদী বন্দর উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন জানান, রাত সাড়ে সাতটার দিকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। এসময় কয়লাঘাট এলাকায় সেতুর কাছাকাছি স্থানে অপর একটি কার্গো জাহাজ ধাক্কা দিলে লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রীসহ ডুবে যায়। এ ঘটনার রাতেই ৫ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দুপুরে লঞ্চটি উঠানোর পর একের পর এক লাশ লঞ্চের ভেতর থেকে ভেসে আসে। এছাড়াও সন্ধা সাড়ে সাতটায় দুই শিশুসহ তিন জনের লাশ উদ্ধার করে ডুবুরিরা। এ পর্যন্ত ২৯ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
সদর ইউএনও নাহিদা জানান, লাশ দাফনের জন্য নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, এখনও নিখোঁজ সাতজনের সন্ধানে নদীতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।

আপডেট : ১১:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৯, নিখোঁজ ৭

আপডেট : ১১:৫৩:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

অনলাইন ডেস্ক।
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবিতে নারী-শিশুসহ ২৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; এখনও সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ২৯ জনের পরিচয় জানা যায়নি। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করছে ফায়ার সার্ভিস এবং মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধার করা হয়। এরপরই লঞ্চটির ভেতর থেকে মরদেহ বের করতে শুরু করেন উদ্ধারকারীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক জানান, উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করে মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা শনাক্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেবে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঢাকার সহকারী পরিচালক সালেহ উদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসন সমাপ্ত ঘোষণা করলেও আমাদের কার্যক্রম বিকেল পর্যন্ত চলবে। ইতোমধ্যে আমরা ২৯টি মরদেহ উদ্ধার করেছি।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, নিখোঁজের সন্ধানে নদীতে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে নৌ-পুলিশকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী লাইটার জাহাজাটি খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার (৪ এপ্রিল) সদর উপজেলার কয়লাঘাট এলাকায় সাবিত আল আসাদ নামের লঞ্চটি একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়।
নারায়নগঞ্জ নদী বন্দর উপ-পরিচালক মোবারক হোসেন জানান, রাত সাড়ে সাতটার দিকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। এসময় কয়লাঘাট এলাকায় সেতুর কাছাকাছি স্থানে অপর একটি কার্গো জাহাজ ধাক্কা দিলে লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রীসহ ডুবে যায়। এ ঘটনার রাতেই ৫ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দুপুরে লঞ্চটি উঠানোর পর একের পর এক লাশ লঞ্চের ভেতর থেকে ভেসে আসে। এছাড়াও সন্ধা সাড়ে সাতটায় দুই শিশুসহ তিন জনের লাশ উদ্ধার করে ডুবুরিরা। এ পর্যন্ত ২৯ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
সদর ইউএনও নাহিদা জানান, লাশ দাফনের জন্য নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, এখনও নিখোঁজ সাতজনের সন্ধানে নদীতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।