অনলাইন ডেস্ক।
বিশ্বজুড়ে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। এই মহামারি দেশে প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৪৬২ জনের আর মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের। শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এখন দুটি- বাজার এবং গণপরিবহন। দেশে এখন পর্যন্ত যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের বড় অংশই হয় বাজারে গেছেন, নয়তো গণপরিবহন ব্যবহার করেছেন।
৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট হাজার করোনা রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে আইইডিসিআর জানিয়েছে, আক্রান্ত রোগীদের ৬১ শতাংশের বাজারে যাওয়া এবং গণপরিবহন ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে। এছাড়া সংক্রমিত হওয়া ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ জনসমাগমস্থল (সভা-সেমিনার) এবং উপাসনালয়ে গিয়েছিলেন।
ওই সাড়ে আট হাজার রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে গিয়েছিলেন ২৬ শতাংশ, করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন ২২ শতাংশ। এ ছাড়া আন্তবিভাগ ভ্রমণ করেছিলেন ১৩ শতাংশ, সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ১২ শতাংশ।
আইইডিসিআর জানিয়েছে, সংক্রমণ রোধে মাস্কপরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। সাথে নিতে হবে টিকা। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে। বাজার খোলা জায়গায় নিয়ে আসার নির্দেশনা আছে, এটিও নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও বদ্ধ জায়গায় বাজার হলে সেখানে যাতে জনসমাগম বেড়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য ‘কঠোর লকডাউনে’ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মানায় মানুষের উদাসীনতা ও করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে বন্ধ থাকবে গণপরিবহন, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও সকল কারখানা।
Leave a Reply