নিজস্ব প্রতিবেদক।
গত কয়েকদিনের তরমুজ নিয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের অভিযানে চুয়াডাঙ্গার বেশকিছু খুচরা ও পাইকারি আড়ত তদারকি করি। আজকের অভিযানে খুচরা ব্যবসায়ীদের রশিদ যাচাই করে দেখা যায় তারা ভালো বড় তরমুজ ৪০ টাকা কেজি পাইকারি ক্রয় করে সাথে অন্যান্য খরচ ২ টাকা ধরে ৪২ টাকা ক্রয় হিসাবে ৫০ টাকা কেজি খুচরা বিক্রয় করছেন। তাদের দাবি কেনা থেকে বিক্রয় পর্যন্ত কিছু তরমুজ নষ্ট হয়ে যায়। এরপর কয়েকটি আড়ত তদারকি করা হয়। তদারকিকালে বড়গুনার জেলার একজন ব্যবসায়ীর সাথে ফোনে কথা বলে জানা যায় তিনি সর্বশেষ একটি ক্ষেত ক্রয় করেছেন ৩,২৫,০০০/- টাকায় ১৩০০ পিচ তরমুজ হিসাবে ২৫০ টাকা প্রতি পিচ পরেছে যার ওজন হবে ২ কেজি থেকে ৮ কেজি পর্যন্ত। পরবর্তীতে আপনাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আরও খোঁজ নেয়ার জন্য যোগাযোগ করি তরমুজের আবাদস্থল ভোলা, পটুয়াখালী ও বড়গুনার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যেখানে দেশের বেশিরভাগ তরমুজ উৎপাদিত হয়। তারা জানান ভোলাতে তরমুজের আকারভেদে প্রতি পিচ খুচরা বিক্রয় হচ্ছে ২০০-৪০০ টাকা। খুলনাতে ৪৫-৫০টাকা কেজি। পটুয়াখালীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন মহোদয় জানান সেখানকার মৌসুম এখন শেষের দিকে। মাত্র ৫-১০ শতাংশ ক্ষেত এখন অবশিষ্ট আছে এবং সেখানকার খুচরা বাজারেই এখন বিক্রয় হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকা পর্যন্ত। তিনি সেই হিসেবে চুয়াডাঙ্গার বাজারে তরমুজের দাম অযৌক্তিক মনে করেন না কারন সেখানে কৃষক পর্যায়েই তারা ভালো দাম পাচ্ছেন। এছাড়া মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীদের মুনাফা তো আছেই। এখন চুয়াডাঙ্গা আসতে এর সাথে আরও পরিবহন ও লেবার খরচ যোগ হয়। তরমুজের কয়েকটি ক্যাটাগরি আছে সব তরমুজের দাম একরকম নয়। শুধু চুয়াডাঙ্গা নয় ক্যাট তরমুজ ব্যাতিত ভালো তরমুজের দাম সারা দেশের একই অবস্থা। সবকিছুর দামই পণ্যের চাহিদা ও যোগানের উপর নির্ভর করে। রমজানে যে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে আমরা সবাই জানি আবার উৎপাদনস্থলের যোগানও প্রায় শেষের দিকে। লেখাটা আপনাদের সদয় অবগতির জন্য দেয়া হল। আরও নিশ্চিত হবার জন্য আপনারাও দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোতে একটু খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। প্রয়োজনে পুটুয়াখালীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তররের উপপরিচালক মহোদয়ের সাথেও কথা বলতে পারেন।
(বিঃদ্রঃ- তুলনামূলক ছোট আকারের ক্যাট তরমুজগুলো চুয়াডাঙ্গায় ২৫-৩৫ টাকা কেজিতেও বিক্রয় হচ্ছে।)
Leave a Reply