রোজিনা আক্তার।
সেই তুমি এলে
অচেনা পথিকের মতো;
নিজের বাস্তভিটেয় সাদা চুলে।
যেখানে জন্মেছিলে আর্ত চিৎকারে,
পৃথিবীর আলো আঁধারে।
খসখসে রঙচটা বাড়িটা; আছে-
বৃদ্ধের মতো দাঁড়িয়ে, কুৎসিত
অন্ধকার নিরবতা বুকে নিয়ে।
ঘরের দেয়ালে সাদাকালো
কিছু ছবি টাঙানো-
কালের স্বাক্ষী ফ্রেমে বাঁধানো।
ছড়ি-চটি ছড়ানো;
কিছু বই আলমিরা তাকে সাজানো।
কাত হয়ে অন্য মনস্ক ডাইনিং টেবিলটা
যার নীচে বসে থাকত চুপিসারে-
(মাছের) কাটার অপেক্ষারত বিড়ালটা।
দেয়ালের ফাটা অংশে ঢুকেছে
দুর্ধর্ষ বটের ডালপালা
যেন তার পৈত্রিক অধিকার পেয়েছে।
পুরনো কথাবার্তা
চেনা সংলাপের প্রতিধ্বনি
দিচ্ছে না কোনো জাগরণবার্তা।
সেখানে অন্য লোকের
সাদা চুনের উঁচুনিচু ঘরবাড়ি।
আলো ঝলমলে বাতির।
বিজ্ঞাপনের বকবকানি, রঙিন-টেলিভিশন
করছে জমিদারি; ঘাসে ভরা বকুল তলায়
আপন জনের সমাধী লিপিটায় শুধু
চেনা সুরে আলিঙ্গন স্মৃতি ছায়ায়।
Leave a Reply