অনলাইন ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করে গণসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মাদকাসক্ত নিরাময় করতে হবে।
আজ কেরাণীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাষ্টের উদ্যোগে ওয়েসিস নামক একটি বিশ্বমানের মাদকাসক্ত নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তিনি কথা বলেন।
বাংলাদেশ পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খূরশীদ আলম, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, ওয়েসিস মাদকাসক্ত নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা যেভাবে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন করেছি, একইভাবে মাদকের বিরুদ্ধেও সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ওয়েসিস একটি ভালো উদ্যোগ ও আধুনিক মানের হাসপাতাল উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার সবাইকে চিকিৎসা সেবা দিতে চায়। মাদকের সরবরাহ, চাহিদা এবং এর ক্ষতি হ্রাস করার জন্য আমরা কাজ করছি। এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এভাবে আধুনিক সেবার মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করে মাদকাসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। জনসচেতনতার মাধ্যমে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশ কল্যাণ ট্রাষ্টের আধুনিক ও বিশ^মানের মাদক নিরাময় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা মাদকাসক্ত নির্মূলে সমাজের সকল মহল বিশেষভাবে উজ্জীবিত হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাসীদের দমনে পুলিশের ভূমিকা আজ বিশেষভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক ভালো।
পুলিশ কল্যাণ ট্রাষ্টের উদ্যোগে রাজধানীর শহরতলী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ এলাকায় সাত তলাবিশিষ্ট ৬০ শয্যার এই আধুনিক মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রটি খোলা থাকবে ২৪ ঘণ্টা। যেখানে ২২টি কক্ষের ১৬টিতে ৪৬টি শয্যা থাকছে পুরুষদের জন্য এছাড়া বাকি ছয়টি কক্ষে ১৪টি শয্যা থাকছে নারীদের জন্য । এরমধ্যে ডাবল কেবিন ২৮টি, ট্রিপল কেবিন ১৫টি এবং জেনারেল ওয়ার্ডে থাকছে ১১টি বেড। এছাড়া জেনারেল ট্রিপল বেড আছে ছয়টি। জেনারেল ওয়ার্ড ছাড়া সব ওয়ার্ড বা কক্ষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। প্রকল্পটির ছাদে রয়েছে বাগান। যেখানে ছাদ বাগানে প্রাকৃতিক পরিবেশে খোলা আকাশের নিচে বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইয়োগা এবং মেডিটেশন করবে রোগীরা। ছাদে বাগানের পাশে রয়েছে ব্যায়ামাগার। ৬ষ্ঠ তলায় আছে নার্সিং স্টেশন। এছাড়া আধুনিক ও বিশ্বমানের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা এই নিরাময় কেন্দ্রে পাওয়া যাবে ।
ওয়েসিস মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক পুলিশ সুপার ডা. এসএম শহীদুল ইসলাম বলেন, পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নিরাময় কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে এবং ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।।
Leave a Reply