ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ইউপি নির্বাচন ঘিরে ঝিনাইদহের মহেশপুর এখন নেতা শুন্য। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা পছন্দের প্রার্থী নিয়ে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। উপজেলা নেতাদের নিয়ে প্রার্থীরা ঘুরছেন দলের শীর্ষ নেতাদের দ্বারে দ্বারে। উপজেলা-জেলা টপকিয়ে নৌকার টিকেট পেতে ঢাকায় ছুটছেন তারা। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে দলীয় টিকিট পাইয়ে দিতে মাঠে রয়েছেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল, সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নবী নেওয়াজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ ও সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন। এদের সবাই রাজধানীতে অবস্থান করে চেষ্টা তদবির করে যাচ্ছেন। একাধিক প্রার্থী ও দলীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, আগামী ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ৭২ জন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেন। দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার পরদিন ঢাকায় পাড়ি জমাতে শুরু করেন নেতারা। ইতোমধ্যে উপজেলার কাজিরবেড় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, বাঁশবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মালেক, স্বরূপপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমানউল্লা হক, পান্তাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন, ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, এসবিকে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আরিফান হাসান চৌধুরী নুথান, নেপা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুল আলম মৃধাসহ মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নৌকা পেতে চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ নৌকা প্রতিক এখন তাদের কাছে যেন সোনার হরিণ। বিএনপির কোন নেতা কর্মী স্বনামে বা বেনামে এমনকি স্বতন্ত্র হিসেবেও মাঠে নেই। তাই অনেকটা ফাঁকা মাঠে নিজেরা নিজেরাই নির্বাচনী কুস্তিতে ব্যাস্ত শাসক দলের নেতারা। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছি। দল যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই মনোনয়ন দেবে। নিজের কিছু কাজ থাকায় ঢাকায় অবস্থান করছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ জানান, উপজেলার ১২ ইউনিয়নে ৭৩ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও জমার শেষ দিন পর্যন্ত ৭২ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ঢাকায় অবস্থান করলেও কোনো প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে কাজ করছি না। উল্লেখ্য, আগামী ১১ নভেম্বর এ উপজেলার ১২ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
Leave a Reply