দৈনিক পদ্মা সংবাদ ডেস্ক।।
বর্ণিল শাপলা আর পদ্ম, সৌন্দর্য্যের বিভা ছড়াচ্ছে দেশের সব বিলগুলোতে। একদিকে শাপলার রঙিন রূপ অন্যদিকে পানির ওপর আসন পেতে নেয়া হাজারো পদ্মের নয়নাভিরাম দৃশ্য। অপরূপ এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। তবে যথেষ্ট অবকাঠামো সুবিধা না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে অভিযোগ তাদের।
দূর থেকে হঠাৎ দেখে মনে হতে পারে লাল গালিচা বা ফুলের বিছানা। বিলের পর বিলজুড়ে স্নিগ্ধতা মাখা হাসি নিয়ে ফুটে রয়েছে রাশি রাশি সাদা, লাল নীল, গোলাপি শাপলা।বিশেষজ্ঞদের মতে, পদ্ম পাতায় জল ’ কিংবা ‘ গোবরে পদ্মফুল ’ —– বাংলা ভাষায় বাগ্ধারা হিসেবে বহুল প্রচলিত । আবার পদ্মাসন যেমন জনপ্রিয় একটা যোগাসন , তেমনি পবিত্রতা বা সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবেও পদ্মের নাম ঘুরেফিরে আসে । বই কিংবা ক্যালেন্ডারের পাতায় ছাপা ছবির বাইরে এই ইট – কাঠের নগরে বেড়ে ওঠা বাসিন্দাদের স্বচক্ষে বিলেঝিলে ফোটা পদ্মের শোভা দেখার সুযোগ সীমিত । অথচ সেই ভাদ্রের শুরু থেকে দেশের আনাচকানাচে বিলের পানিতে মনোহর পদ্মের সঙ্গে আসন পেতে আছে পদ্ম ও শাপলা । এই সব বিল অনেকের কাছেই পরিচিত হয়ে উঠেছে । ভরমৌসুমে বিশেষ করে ছুটির দিনে। বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রচুর মানুষ ভিড় করে গ্রামীণ পরিবেশে বিলের পানিতে ফুটে থাকা এসব জলজ ফুলের শোভা দেখার জন্য । সাধারণত ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এই বিলে পদ্ম ও শাপলা ফুটতে শুরু করে । পদ্ম ভাসমান জলজ উদ্ভিদ । এর বৈজ্ঞানিক নাম nelumbo nucifera ।সারাদেশে আষাঢ় থেকে কার্তিক পর্যন্ত টানা পাঁচ মাস পদ্মফুলে রঙ্গিন থাকে পুরো বিল এলাকা।।
Leave a Reply