আজ ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চাকরি ছেড়ে শত কোটির মালিক ব্রিটিশ নারী কেটি

অনলাইন ডেস্ক।
স্কুলে পড়ার সময় থেকেই কেটির সঞ্চয়ের নেশা। তিনি বলেন, তিনি মিতব্যয়ী ছিলেন। সমবয়সীদের যখন খরচের ঝোঁক ছিল, তখন তাঁর লক্ষ্য ছিল অর্থ জমানো

মানুষের জীবনে নানা রকম ঘটনা ঘটে। সঞ্চয় করার অভ্যাস অনেকেরই।

বিপদে কাজেও লাগে সঞ্চয়কৃত অর্থ। কিন্তু এবার একটি ভিন্নধর্মী ঘটনা আর তা হলো ব্রিটিশ নারী কেটি ডোনেগানের। মাত্র ৩৫ বছরেই চাকরি ছেড়েছেন তিনি। তবে তাতে তেমন কিছু পরিবর্তন হচ্ছে না ডোনেগানের।
এই অল্প বয়সেই তিনি সঞ্চয় করে ফেলেছেন ১০ লাখ পাউন্ড বা ১০০ কোটি। ব্রিটিশ নারী কেটি ডোনেগানের অল্প বয়সে এই অর্জন উঠে এসেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলোয়। কভিড-পর্ব আসার আগে মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলেন কেটি ডোনেগান। বর্তমানে তার বয়স ৩৭ বছর।
অবসর জীবনের খরচ কীভাবে চলবে, তা নিয়ে অবশ্য বিশেষ চিন্তা ছিল না কেটির। কারণ, মাত্র কয়েক বছরের কর্মজীবনেই প্রায় ১০ লাখ পাউন্ড বা ১০০ কোটি সঞ্চয় করে ফেলেছেন তিনি। কিনেছেন দামি ফ্ল্যাটও। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই কেটির সঞ্চয়ের নেশা। তিনি বলেন, তিনি মিতব্যয়ী ছিলেন।
সমবয়সীদের যখন খরচের ঝোঁক ছিল, তখন তাঁর লক্ষ্য ছিল অর্থ জমানো। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে পড়াকালীন একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন কেটি। ঘণ্টা-পিছু ৯ পাউন্ড মজুরিতে। এরপর পড়াশোনার পালা শেষ না করেই ২০০৫ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজ নিয়ে পাড়ি দেন কোস্টারিকায়। সেখানেই স্বামী অ্যালানের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। দেশে ফিরে এসে ২০০৮ সালে পড়াশোনা শেষ করেন কেটি। অ্যালানের হ্যাম্পশায়ারের বাড়িতে থেকেই চাকরি শুরু করেন। কেটির কথায়, তাঁর সে সময় বার্ষিক রোজগার ছিল প্রায় ২৮ হাজার ৫০০ পাউন্ড বা ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু তিনি একটা পুরনো গাড়িতে চড়তেন। সস্তার প্যাকেটের খাবার খেয়েই কাটাতেন। এমন কৃচ্ছ্রসাধনের কারণে ২০১০ সালের মধ্যেই একটি বেসিংস্টোকে দুই কামরার ফ্ল্যাট কিনে ফেলেছিলেন তিনি। ১ লাখ সাড়ে ৬৭ হাজার পাউন্ডের ফ্ল্যাটের জন্য প্রাথমিকভাবে দিতে হয়েছিল ৪২ হাজার পাউন্ড। ২০১৩ সালে অ্যালানকে বিয়ে করেন কেটি। তত দিনে তিনি বেশ কয়েক কোটি জমিয়ে ফেলেছেন। এর কয়েক বছর পর থেকেই চাকরি ছাড়ার ভাবনা তাঁর মনে দানা বাঁধতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন কেটি। কেটি জানান, যদি নিয়ম মেনে জীবন চালানো যায় তাহলে জীবনে ততটা কষ্ট থাকে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :