রাশিদা-য়ে আশরার।
বিশ্ব ক্রিকেট মঞ্চে তারা আশা জাগিয়েও বিফল যারা,
খবর টা আরো হয় পাকা-বাঙালি জাতি ধৈর্য্য হারা;
যখন দল খারাপ খেলে বলে-ব্যাটে-ফিল্ডিংয়ে,
ক্যাচটা যখন দেয় ছেড়ে ম্যাচটা তখন যায় হেরে।
দুর্নাম আছে পুষ্টির অভাব ছক্কা মারতে হাত কাঁপে,
চার হওয়া তো দুরের কথা সিঙ্গেল নিতে উল্টে পড়ে।
একটা পড়লে জোড়া ধরে পড়ে কখনো বা
পর্যায়ক্রমে…
ওপেনারদের কথা দিলাম ছেড়ে মিডিল ওভারে
লড়তে লড়তে নুয়ে পড়েছে বয়সের ভারে;
হাফ সেঞ্চুরি হলে পরে যেন সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচে!
আশরাফুল ছিল প্রথম হিরো আশার ফুল-
আশার আলো,
আরো যারা পাপী ছিল দোষ শুধু তারই হলো-
সব ভক্তকুল মুখিয়ে আছে কবে ফিরবে জাতীয় দলে।
বিশটা বছর পেরিয়ে গেল প্লেয়াররা সব
বড় হবে কবে সবে?
খামখেয়ালিতে উইকেটটা বিলিয়ে দিয়ে অসহিষ্ণু
সবাই অল্পে তুষ্ট-জেতা ম্যাচ টা অন্য ঘরে;
হারার মন্ত্রী জুড়ি মেলা ভার ভক্ত সমর্থকদের বিশ্বাস ভেঙে- মন পুড়ে হয় ছারখার!
রিক্সাওয়ালা, দিনমজুর কাজ থামিয়ে খেলা দেখে
মেতে ওঠে ভুক্তভোগী ক্রিকেট জ্বরে,
অফিস, আদালতে কাজের ফাঁকে হেডফোনটা কানে গুঁজে-
ধারা বিবরণী শুনতে থাকে বসের ভয়ে,
দোকানি রা বিকিকিনি বন্ধ করে টিভির ভলিউম
বাড়িয়ে দিয়ে খেলা দেখে সবাই মিলে।
পাড়ার ছেলেদের তড়িঘড়ি খেলা ছেড়ে বাড়ি ফেরে,
বেহাল অবস্থা পরীক্ষার্থীদের-ক্লাস-পরীক্ষা ফাঁকি দিয়ে বসে যায় টিভির সামনে।
গৃহিণীরাও কম যায়না-সাকিবের ওভার টা দেখতে গিয়ে রান্নার ফাঁকে ভাতটা পুড়ে গন্ধ ছোটে!
যাদের মধ্যে পাগলামি টা আরো বেশি ভর করে
আগের দিন রান্না তাই তারা সেরে ফেলে।
একটু ভেবে দেখো ভাই ধৈর্যটা আরো বাড়িয়ে দাও,
রপ্ত করো কৌশল আরো পারফরম্যান্সটা ধরে রাখো।
ক্রিকেটের প্রতি আস্থা, ভালোবাসার দায়
মান সম্মানটা যেন রক্ষা পায়,
ক্রিকেট জ্বরে ভুক্তভুগী-বিশ্বের সকল ক্রিকেটপ্রেমী,
বেড়ে যায় ধুকধুকানি বিশ্বকাপটা কাছে এলে।
ভাবনাটা সবার যায় বেড়ে কাপটা ওঠে যেন
আপন ঘরে,
আমাদের তেমন আশা নেই সেমিফাইনাল পর্যন্ত গেলেই চলে!
আশা করতে দোষ নেই কোন হতাশ না হয়ে চালিয়ে যাও-সময় এখন বদলে গেছে অনেকটাই,
দেখবে একদিন হবেই জয় তোমাদের সাথে আমরা সবাই…
বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমী-স্বয়ং যিনি প্রধানমন্ত্রী!
২০১৯
(অস্থির সময়ে ক্লান্ত পাখিরা)
Leave a Reply