মোঃ ইউসুফ আালী,আটোয়ারী(পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(সাঃ) পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বাদ মাগরিব হতে উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী(সাঃ)-এর তাৎপর্য তুলে ধরে বয়ান করেছেন মসজিদের ইমাম সহ আমন্ত্রিত আলেমগণ। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ কমিটির আয়োজনে মসজিদে মসজিদে ঈদে মিলাদুন্নবী(সা.)-এর তাৎপর্য তুলে ধরে বয়ান করেছেন সংশ্লিষ্ট মসজিদের ইমামগণ। ইমাম ও খতিবগণ বয়ানে বলেন, এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী(সাঃ) নামে পরিচিত। প্রায় এক হাজার ৪০০ বছর আগে এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। আবার এই দিনে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। এক সময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানান অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মুর্তিপুজা করত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে প্রেরন করেন এই ধরাধমে। মহানবী অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেম অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজা নামের এক ধর্ণাঢ্য মহিলার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত প্রাপ্ত হন। আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ করেন। পবিত্র কোনআন শরীফে বর্ণিত আছে,‘ মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না’। এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশী। বাংলাদেশ সহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী(সাঃ) হিসেবে পালন করে থাকে। অনুষ্ঠানে বয়ান, মিলাদ, ক্কিয়াম শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা সহ বিশ্ব উম্মাহর শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। জানাগেছে, পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী(সাঃ) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সহ বিভিন্ন মাদরাসা,মসজিদ, খানকাহ শরীফে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
Leave a Reply