আজ ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কাজের লোভ দেখিয়ে পাচার, সুন্দরবনের ৫ মহিলাকে দিল্লি থেকে উদ্ধার করল ঢোলাহাট থানা

অনলাইন ডেস্ক।

রাজ্য থেকে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল দিল্লিতে। সেই গোপন ডেরায় হানা দিয়ে সুন্দরবনের ৫ মহিলাকে উদ্ধার করে আনল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার পুলিস।

পুলিস সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া ৫ মহিলার মধ্যে ২ জন নাবালিকা। দিল্লির সরিতা বিহার থানার মদনপুর খাদর এলাকার এক গোপন ডেরা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিসের হাতে ধরা পড়েছে মূল অভিযুক্তের শাকদের। নাম সঞ্জু হালদার(৩১)। সঞ্জুর বাড়ির কলকাতার লেক থানার রহিম ওস্তাগর রোড এলাকায়। রবিবার তাকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। উদ্ধার হওয়া মহিলাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

কীভাবে পাচার? পুলিস সূত্রে খবর, কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে গত মাসে ঢোলাহাটের বাসিন্দা এক গৃবধূকে দিল্লি নিয়ে যায় ঢোলাহাটের শঙ্করপুর মোল্লাপাড়ার দম্পতি বাবুল হোসেন মোল্লা ও জিন্নিতুন বিবি। দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে ওই গৃহবধূকে একটি ঘরে আটকে রেখে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। পরে গৃহবধূর বাড়ি থেকে টাকা পাঠালে বাড়ি ফিরে সে থানায় সব ঘটনা জানায়। তার কাছ থেকেই জানা যায় রাজ্যের ৫ জন মহিলাকে আটকে রাখা হয়েছে।

ওই মহিলার বয়ানের উপরে ভিত্তি করে গ্রেফতার করা হয় বাবলু হোসেন ও তার স্ত্রী জিন্নাতুনকে। তারপরই ঢোলাহাট থানার তদন্তকারী অফিসার শুভেন্দু চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে পুলিসের একটি টিম জিন্নাতুন বিবিকে নিয়ে দিল্লি রওনা দেয়। সেখানে দিল্লি পুলিস ও শক্তি বাহিনী নামে এক এনজিও-র সাহায্য নিয়ে বুধবার সরিতা বিহার থানার মদনপুর খাদর এলাকার এক গোপন ডেরা থেকে ওই ৫ মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। ধরা পড়ে যায় সঞ্জু হালদার। মূল অভিযুক্ত নুর আলম পলাতক।

অভিযোগ, কাজের টোপ দিয়ে জিন্নাতুন তাদের দিল্লি নিয়ে আসে। সেখানে মাথাপিছু তাদের ১৫ হাজার টাকা দিয়ে তাদের কিনে নেয় অন্য একজন। পরে তাদের সে ওইসব মেয়েদের লখনউয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। উদ্ধার হওয়া মহিলাদের যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সুত্রঃ জি নিউজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :