আজ ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কালীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সেজে হয়রানি, প্রতিবাদে গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন ও ঝটিকা মিছিল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বারফা গ্রামের আফছার বিশ্বাসের সন্তান প্রতারক মোঃ শামসুর রহমান ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সেজে গ্রামের সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। প্রতিবাদে ঝাড়– মিছিল করেছে নারীরাও।সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলার বারফা গ্রামে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ আশরাফুল ইসলাম খোকন।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে শামছুর রহমান এলাকার একজন চিহ্নিত ঠান্ডা মাথার প্রতারক ও মামলাবাজ। তার প্রতারনার শিকার গ্রামের অধিকাংশ মানুষ। সম্প্রতি সরকারী রাস্তার জায়গায় সে অবৈধভাবে ঘর করে লোক চলাচলের অসিুবিধা সৃষ্টির জন্য গ্রামবাসী প্রতিবাদ করে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করে। এতে সে আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আমাকে সন্ত্রাসী বানানোর অপচেষ্টাসহ আমার জীবননাশের জন্য চেষ্টা করছে। সে খারাপ বুদ্ধির মানুষ হওয়ায় বর্তমানে আমি ক্ষতির আশঙ্কা করছি।তিনি আরো বলেন, আপনারা খোঁজ নিলে জানতে পারবেন যে, প্রতারক শামছুর রহমানের বাবা কোন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। যা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, ইউনিয়ন ও থানা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে জানলে বুঝবেন যে সে কতবড় প্রতারক। ভুয়া তথ্য দিয়ে তাদেরকেও যেমন হয়রানী করছে। তেমনি জাতীর শ্রেষ্ট সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধাদেরও ভাবমুর্তি নষ্ট করেছে। অবশ্যই সে শাস্তি পাওয়ার যোগ্য বলে মনে করছি।তিনি বলেন, তার মামলাবাজির হাত থেকে রক্ষা পায়নি গ্রামের হতদরিদ্র আব্দুল আজিজ বিশ্বাসও। এছাড়াও গ্রামের আমার নামছাড়াও হযরত মন্ডল, তার আপন চাচাতো ভাই নজরুল বিশ্বাসের নামে ৪/৫ টি, ইকবাল মন্ডল,নজরুল মন্ডলসহ আরও অনেক নিরীহ মানুষের নামে মিথ্যা হয়রানীমূলক মামলা দিয়ে লাগাতারভাবে হয়রানি করছে। গ্রামবাসি মৌখিক বক্তব্যে বলেন, কেউ জমির খুঁটি ওঠালেই তার নামে মামলা করে মামলাবাজ শামছুর রহমান। এ পর্যন্ত গ্রামের কমপক্ষে ২০ জনের নামে শতাধিক হয়রানীমূলক মামলা দিয়ে অনেকের নিঃস করেছে।এ ব্যাপারে জানতে শামছুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার ছোট ভাই সুমন মুটোফোনে জানান, গ্রামে আমাদের অনেক জমি আছে। যা গ্রামের অনেকেই জোর করে দখলের মাধ্যমে ভোগ করে। সে জন্য আমরা মামলা দিই। তিনি আরও বলেন, আমরা সাংবাদিকদের কাছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কখনও বলিনি। তারা কিভাবে লিখলো আমাদের জানা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :