কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি ।।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বন্ধ হয়নি অবৈধ চক্ষু চিকিৎসা প্রশাসনের আদেশ উপেক্ষা খুটির জোর কোথায়। দৈনিক এই আমার দেশ দৈনিক নবচিত্র সহ চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র নিয়ে বেশ কিছু জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় বারবার সংবাদ প্রকাশ হলেও বন্ধ হয়নি কথিত চিকিৎসা বানিজ্য। সংবাদ টি উপজেলা প্রশাসনে নজরে পড়লে( ৯ নভেম্বর) মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনে পক্ষ থেকে কোটচাঁদপুর প্রাথমিক চক্ষু রোগ নিরাময় কেন্দ্রে কথিত ডাঃ সুমন কুমার বালা চক্ষু রোগীর চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় উঠিয়ে নির্বাহী অফিসারে কক্ষে নিয়ে চক্ষু চিকিৎসার উপর কোনো ডিগ্রি না থাকলেও। চক্ষু চিকিৎসা দেওয়ার অপরাধ প্রাথমিক ভাবে প্রথম বারের মতো ক্ষমা করে। অপচিকিৎসা না দেওয়া সহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে কোটচাঁদপুর ছাড়ার নির্দেশ দেন নির্বাহী অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন। নির্দেশ উপেক্ষা করে ঔ চিকিৎসা কেন্দ্র যদি সঠিক ডিগ্রি ধারী ডাক্তার ছাড়া কথিত বা ভুয়া ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয় তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান টি সিলগালা করা হবে বলে তিনি জানান। উল্লেখ-কলেজষ্ট্যান্ড সংলগ্ন হাইওয়ে রাস্তার পাশে অবস্তিত সাবেক ভূমি কর্মকর্তা শুকুর আলীর নিজ বাড়ীতে সুমন কুমার বালা নামে এক প্যারামেডিক বসিয়ে ডাক্তার পরিচয়ে প্রতিনিয়ত দিচ্ছেন চক্ষু চিকিৎসা।
প্রতিষ্ঠানের সামনে চটকদার বিজ্ঞাপন ও ডাঃ সবুজ আহমেদ (এফ.সি.পি,এস) এর বড় ব্যানার টাঙিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছেন চিকিৎসা নিতে আসা চক্ষু রোগীদের।
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের সামনে বসিয়ে রাখা হয়েছে ৪/৫ জন দালাল, যাদের কাজই হচ্ছে রাস্তা থেকে রোগী ধরে এনে তাদেরকে ম্যানেজ করা, কখনও আর-দীন হাসপাতাল কখনও সরকারী ডাক্তার কখনও আবার যশোর সদর হাসপাতালের ডাক্তার পরিচয়ে রোগীদের হয়রানী করা হচ্ছে। ডাঃ সুমন কুমার বালা, ডাঃ আবদুল্লাহ এ সব বিভিন্ন প্যারামেডিক নিয়ে বিভিন্ন সময়ে চলে এখানে চিকিৎসা বানিজ্য। সাবেক ভূমি কর্মকর্তা নিজেই প্রতিষ্ঠানের ভিতরে বসে টিকিট লেখেন ও ঔষধ বিক্রি করেন।
নির্বাহী অফিসার সাংবাদিদের বলেন এমন অপচিকিৎসা উপজেলার কোথাও যদি কেউ দিয়ে থেকে আমাকে একটু অবহিত করবেন আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সাধারণ জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের।
Leave a Reply