আজ ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঝিনাইদহের তিন সাংবাদিকসহ চার জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
এক নারীর অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ঝিনাইদহের তিন সাংবাদিকসহ চার জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। শৈলকুপার সাতবিলা কুলচারা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব ডেভালপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী শেফালী খাতুন বাদী হয়ে খুলনার বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন। আদালত বাদীনির অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঝিনাইদহ পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন, ভোরের কাগজের শৈলকুপা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান সুমন, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শামিমুল ইসলাম শামিম, দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার শৈলকুপা প্রতিনিধি এইচ এম ইমরান ও শেফালীর সাবেক স্বামী শৈলকুপার পাঁচপাখিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে মনিরুল ইসলাম। বাদীনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব ডেভালপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ও একজন কৃষি উদ্যোক্তা।২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলার চার নাম্বার আসামী মনিরুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়। ২০১৩ সালের শেষ দিকে স্বামী তাকে ফেলে রেখে বিদেশ চলে যায়। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে বাদীনিকে নির্যাতন করতে থাকেন। ফলে ২০২০ সালের ৭ জুন স্বামীকে তালাক দেন। এরপর থেকেই যে যার মতো চলাফেরা করতে থাকেন। বাদীনি পিতার বাড়িতে থেকে হাঁস, মুরগী ও ছাগল পালনের পাশাপাশি বুকিটকের কাজ করেন। গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে এক নং আসামী মনিরুজ্জামান সুমন তার ফেসবুক ওয়ালে বাদীনি ও চার নং সাক্ষি আহসানুল কবীর টিটোর কিছু অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি পোষ্ট করেন। এরপর ২ নং আসামী শামিমুল ইসলাম শামিম ও ৩নং আসামী এইচএম ইমরানের ব্যক্তিগত আইডি থেকে দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবি ও নিউজ ছড়িয়ে পড়ার পর বাদীনির প্রতি ঘৃনা ছড়াতে থাকে। এলাকায় এ নিয়ে মুখরোচক ও বিরুপ আলোচনায় পরিণত হয়। বাদিনী ও চার নং সাক্ষির ব্যক্তিগত সুনাম ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘিœত করার জন্যই আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে এই সাইবার অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে বাদীনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেন। বিষয়টি নিয়ে বাদীনির আইনজীবী স্বপন কুমার ঘোষ খবর নিশ্চিত করে জানান, গত ১৫ নভেম্বর বিজ্ঞ বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত খুলনায় অভিযোগটি দায়ের করা হলে ঝিনাইদহ পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিন সাংবাদিকের বক্তব্য ঝিনাইদহের তিন সাংবাদিকসহ চার জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
এক নারীর অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ঝিনাইদহের তিন সাংবাদিকসহ চার জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। শৈলকুপার সাতবিলা কুলচারা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব ডেভালপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী শেফালী খাতুন বাদী হয়ে খুলনার বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন। আদালত বাদীনির অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঝিনাইদহ পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে। মামলার আসামীরা হলেন, ভোরের কাগজের শৈলকুপা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান সুমন, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শামিমুল ইসলাম শামিম, দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার শৈলকুপা প্রতিনিধি এইচ এম ইমরান ও শেফালীর সাবেক স্বামী শৈলকুপার পাঁচপাখিয়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে মনিরুল ইসলাম। বাদীনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স অব ডেভালপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ও একজন কৃষি উদ্যোক্তা।২০১০ সালের ২০ ডিসেম্বর মামলার চার নাম্বার আসামী মনিরুল ইসলামের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়। ২০১৩ সালের শেষ দিকে স্বামী তাকে ফেলে রেখে বিদেশ চলে যায়। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে বাদীনিকে নির্যাতন করতে থাকেন। ফলে ২০২০ সালের ৭ জুন স্বামীকে তালাক দেন। এরপর থেকেই যে যার মতো চলাফেরা করতে থাকেন। বাদীনি পিতার বাড়িতে থেকে হাঁস, মুরগী ও ছাগল পালনের পাশাপাশি বুকিটকের কাজ করেন। গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে এক নং আসামী মনিরুজ্জামান সুমন তার ফেসবুক ওয়ালে বাদীনি ও চার নং সাক্ষি আহসানুল কবীর টিটোর কিছু অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি পোষ্ট করেন। এরপর ২ নং আসামী শামিমুল ইসলাম শামিম ও ৩নং আসামী এইচএম ইমরানের ব্যক্তিগত আইডি থেকে দ্রæত ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবি ও নিউজ ছড়িয়ে পড়ার পর বাদীনির প্রতি ঘৃনা ছড়াতে থাকে। এলাকায় এ নিয়ে মুখরোচক ও বিরুপ আলোচনায় পরিণত হয়। বাদিনী ও চার নং সাক্ষির ব্যক্তিগত সুনাম ও সামাজিক নিরাপত্তা বিঘিœত করার জন্যই আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে এই সাইবার অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে বাদীনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেন। বিষয়টি নিয়ে বাদীনির আইনজীবী স্বপন কুমার ঘোষ খবর নিশ্চিত করে জানান, গত ১৫ নভেম্বর বিজ্ঞ বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত খুলনায় অভিযোগটি দায়ের করা হলে ঝিনাইদহ পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তিন সাংবাদিকের বক্তব্য জানতে ফোন করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে তিন সাংবাদিকের নামে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন। ফোন করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে তিন সাংবাদিকের নামে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :