চুয়াডাঙ্গা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ- বিপর্যয়, জনসচেতনতা এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা

Padma Sangbad

রাশিদা-য়ে আশরার,কবি ও সাহিত্য সম্পাদক দৈনিক পদ্মা সংবাদ।।

বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবন দেশ একথা বলার অপেক্ষাই রাখে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নিয়তি বিপদ আপদ, দৈব আকস্মিক বিপদ কোন কিছুই রোধ করা যায় না; করোনা মহামারী এক প্রকার বিপর্যয় যা এযুগের বিস্ময়! দেশের চলমান উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয় অনেকাংশে, সাম্প্রতিক- চলমান সময় ধরে ছোঁয়াচে এই করোনা ভাইরাসটির কারণে,এর চিকিৎসা ও ব্যয়বহুল ! তাছাড়া এই রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে অফিস- আদালত, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় লম্বা সময় ধরে বন্ধ থাকে, লকডাউন কঠোর লক ডাউনে কেউ চাকরীচ্যুত, কেউ অর্ধেক বেতন ভুক্ত, শহর ছেড়ে গ্রামগঞ্জে ঠিকানায় জুটেছে, অর্ধাহারে অনাহারে দিন কেটেছে অনেকের। যার কারনে জীবন যাপনের মান উন্নয়নেও ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হয়েছে তা আমরা সবাই জানি।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই দেশটি সবে মাত্র উন্নয়নের ডানা মেলতে শুরু করছে‌, উন্নত দেশের তুলনায় যা এখনো অতিক্ষুদ্র। দেশের উন্নয়ন হলেও এখনো বেশির ভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে। যার কারণে পরিকল্পিত নগরায়ন সম্ভব হয়নি। সবকিছু মিলেই যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকা সহ শহর অঞ্চলে বড় বড় স্থাপনা গড়ে উঠলেও পাশাপাশি কিছু পুরনো ও নিম্নমানের ইটের তৈরি ঘর বাড়ি রয়েছে। গ্রাম অঞ্চলে অধিকাংশ ঘরবাড়ি এখনো মাটি ও টিনের তৈরি তাই প্রতিবছর বন্যা, খরা অতিবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইতিপূর্বে ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোনের তান্ডব ও লক্ষনীয়,ভূমিকম্পে ও কিছু ক্ষয় ক্ষতি সাধন হয়েছে তবে সচেতন থাকলে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায় কার্যকরী ও সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাছাড়া ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্বে ও পরে কি করা উচিত সে সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন।

বাংলাদেশে আগামীতে ভূমিকম্পের ব্যাপক হারে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে তাই সরকার এ ব্যাপারে সচেষ্ট, আশু পদক্ষেপ কার্যক্রম শুরু করেছেন। জনগণকেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, আতঙ্কিত না হয়ে বরং সতর্কতা গ্রহণের জন্য আগাম প্রস্তুতি হিসাবে কিছু ভিডিও, অডিও বিভিন্ন সংবাদ পত্রের মাধ্যমে আসুন নিজে জানি- অন্যকে ও শেয়ার করে ব্যাপক হারে সচেতনা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। প্রতিবছর আমাদের দেশে তীব্র আকার ধারণ না করলেও মাঝে মাঝেই ভূমিকম্প জানান দিয়ে যায়।

গতকালের ভূমিকম্প টি ছিল ৬.১ রিখটার স্কেল, ৭.৮ রিখটার স্কেল দিয়ে বয়ে গেলে ঘরবাড়ি, জানমালের ব্যাপক পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হবে! পরিকল্পিত নগরায়ন অর্থাৎ এখন যে বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে তা ভূমিকম্প এবং অন্যান্য দুর্যোগ সহনীয় করে তৈরি করলে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ গড়ে তোলা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হওয়া সম্ভব। তাছাড়া অন্যান্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ সহ ভূমিকম্প সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করলে জাতি ও দেশের জনগণের জন্য তা সুফল বয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ।
২০২১

আপডেট : ১১:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ- বিপর্যয়, জনসচেতনতা এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা

আপডেট : ১১:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

রাশিদা-য়ে আশরার,কবি ও সাহিত্য সম্পাদক দৈনিক পদ্মা সংবাদ।।

বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবন দেশ একথা বলার অপেক্ষাই রাখে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নিয়তি বিপদ আপদ, দৈব আকস্মিক বিপদ কোন কিছুই রোধ করা যায় না; করোনা মহামারী এক প্রকার বিপর্যয় যা এযুগের বিস্ময়! দেশের চলমান উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয় অনেকাংশে, সাম্প্রতিক- চলমান সময় ধরে ছোঁয়াচে এই করোনা ভাইরাসটির কারণে,এর চিকিৎসা ও ব্যয়বহুল ! তাছাড়া এই রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে অফিস- আদালত, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় লম্বা সময় ধরে বন্ধ থাকে, লকডাউন কঠোর লক ডাউনে কেউ চাকরীচ্যুত, কেউ অর্ধেক বেতন ভুক্ত, শহর ছেড়ে গ্রামগঞ্জে ঠিকানায় জুটেছে, অর্ধাহারে অনাহারে দিন কেটেছে অনেকের। যার কারনে জীবন যাপনের মান উন্নয়নেও ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হয়েছে তা আমরা সবাই জানি।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত এই দেশটি সবে মাত্র উন্নয়নের ডানা মেলতে শুরু করছে‌, উন্নত দেশের তুলনায় যা এখনো অতিক্ষুদ্র। দেশের উন্নয়ন হলেও এখনো বেশির ভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে। যার কারণে পরিকল্পিত নগরায়ন সম্ভব হয়নি। সবকিছু মিলেই যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

বাংলাদেশে রাজধানী ঢাকা সহ শহর অঞ্চলে বড় বড় স্থাপনা গড়ে উঠলেও পাশাপাশি কিছু পুরনো ও নিম্নমানের ইটের তৈরি ঘর বাড়ি রয়েছে। গ্রাম অঞ্চলে অধিকাংশ ঘরবাড়ি এখনো মাটি ও টিনের তৈরি তাই প্রতিবছর বন্যা, খরা অতিবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইতিপূর্বে ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোনের তান্ডব ও লক্ষনীয়,ভূমিকম্পে ও কিছু ক্ষয় ক্ষতি সাধন হয়েছে তবে সচেতন থাকলে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায় কার্যকরী ও সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাছাড়া ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্বে ও পরে কি করা উচিত সে সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন।

বাংলাদেশে আগামীতে ভূমিকম্পের ব্যাপক হারে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে তাই সরকার এ ব্যাপারে সচেষ্ট, আশু পদক্ষেপ কার্যক্রম শুরু করেছেন। জনগণকেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, আতঙ্কিত না হয়ে বরং সতর্কতা গ্রহণের জন্য আগাম প্রস্তুতি হিসাবে কিছু ভিডিও, অডিও বিভিন্ন সংবাদ পত্রের মাধ্যমে আসুন নিজে জানি- অন্যকে ও শেয়ার করে ব্যাপক হারে সচেতনা বৃদ্ধি করা যেতে পারে। প্রতিবছর আমাদের দেশে তীব্র আকার ধারণ না করলেও মাঝে মাঝেই ভূমিকম্প জানান দিয়ে যায়।

গতকালের ভূমিকম্প টি ছিল ৬.১ রিখটার স্কেল, ৭.৮ রিখটার স্কেল দিয়ে বয়ে গেলে ঘরবাড়ি, জানমালের ব্যাপক পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হবে! পরিকল্পিত নগরায়ন অর্থাৎ এখন যে বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে তা ভূমিকম্প এবং অন্যান্য দুর্যোগ সহনীয় করে তৈরি করলে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ গড়ে তোলা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হওয়া সম্ভব। তাছাড়া অন্যান্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ সহ ভূমিকম্প সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করলে জাতি ও দেশের জনগণের জন্য তা সুফল বয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ।
২০২১