রাশিদা-য়ে আশরার,কবি ও সাহিত্য সম্পাদক দৈনিক পদ্মা সংবাদ।।
“নেপোলিয়ান যথার্থই বলেছিলেন আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি উন্নত জাতি দেবো।”
সৃষ্টিকর্তা আমাদের যা কিছু দেবেন তাই তো আমরা পাবো…তার এক রতি কম ও নয় বেশি ও নয়! সংসার ও পরিবার, অর্থ সম্পদ, নাম,জশ, সম্মান ও মর্যাদা খ্যাতি সব কিছু! আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, তাহলে আমাদের কাজ করার কি দরকার- কষ্ট করেই অর্জন করতে হবে কেন- তিনিই তো ভাগ্য লিখে রেখেছেন। কিন্তু ভাগ্যের ব্যাপারটা এরকম যে ওই কাজগুলো সে করবে তাই তার ভাগ্যে লেখা হয়।
আবার ভাগ্য বা নিয়তি পরিবর্তনশীল কারণ তিনি আমাদের পালনকর্তা জীবন-মৃত্যুর একমাত্র মালিক তার কাছে আমরা দোয়া ও ক্ষমার মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি।
উদাহরণস্বরূপ আমরা পিতামাতার গুরুজনদের কাছে একটা জিনিস আবদার করলে তারা তাঁরা সাধ্যমত পূরণ করেন। আর যিনি আমাদের রব অসীম ক্ষমতাবান তাঁর কাছে তো আমরা সবকিছু চাইতে ও পেতে পারি। এভাবেই নিজের অবস্থার পরিবর্তন করতে পারি, তিনি সবসময় আমাদের পাশে থাকেন, ভালো-মন্দ সবকিছু দেখেন ও শুনে থাকেন। একমাত্র তিনিই আমাদের জন্য যথেষ্ট,এই বিশ্বাসটি হৃদয়ে ধারণ করতে হবে তাহলে আমরা সফলকাম হতে পারব।
এই বোধ গুলো আমরা পাঠ্য বই বা পুঁথি গত বিদ্যার মাধ্যমেই জানতে ও বুঝতে পারি, শিখতে পারি আবার নিজের উপলব্ধি, অভিজ্ঞতা ও পিতা- মাতা বন্ধুবান্ধব,
পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারি- তাকে আমরা বলে থাকি স্বশিক্ষায় শিক্ষিত।
মানুষ যখন জ্ঞান আরোহন ও অর্জন করতে পারে তখন দায়িত্ব- কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে পারে।
একে অপরের প্রতি সোহার্দ্য সম্প্রীতি গড়ে ওঠে।পরিবারের পাশে পাশে সমাজ ও দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষার বিকল্প কিছু নেই, যে জাতি ও সমাজ যত জ্ঞান অর্জন করে সে জাতি তত উন্নত করতে পারে।
একমাত্র শিক্ষার দ্বারাই মানুষ বুদ্ধি, বিবেক বোধ মানবতা- মনুষত্ব বোধকে শানিত করতে পারে।
দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে আমাদের দেশেও শিক্ষার হার কিন্তু উন্নত দেশের তুলনায় এখনও অনেকাংশে পিছিয়ে। এখনও মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে যার কারণে ন্যূনতম চাহিদা পূরণে সক্ষম নয় যার কারণে সুশিক্ষায় শিক্ষা বা পুঁথিগত পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। দারিদ্রতার কারণে অনেকে বেশি দূর এগিয়ে যেতে পারে না। বর্তমান সরকার শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রাথমিক থেকে গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে বই বিতরণ, বয়স্ক শিক্ষা ও ভাতা অন্যান্য বিভিন্ন মুখী পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
সব মিলিয়ে দেশে নিরক্ষরতার হার কমেছে, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা হলেও মানুষের আর্থ- সামাজিক অবস্থার উন্নতি ও ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। মানুষ শিক্ষিত হয়ে উঠলে মানুষ হিসাবে মানবতা- মনুষ্যত্ব বোধ জেগে উঠবে, জীবন যাপন ও সূস্বাস্থ্য, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে তত সচেতন হবে, মমত্ববোধ সৃষ্টি হবে, অন্যায়-অনিয়ম দুর্নীতি কমে আসবে। তথ্যপ্রযুক্তি,জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্যর পৃষ্ঠপোষকতা ও সৃষ্টি সৃজনশীলতার মাধ্যমে মেধা-মননের বিকাশ ঘটবে আর এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম উন্নতির উৎকর্ষে বিস্তার লাভ করবে। শুধু চাকরি নির্ভর না হয়ে নিজেরা উৎপাদনমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারবে, সুশিক্ষা- উচ্চশিক্ষা ও স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে অভাব, ক্ষুধা,দারিদ্রতা, দূরীকরণ সম্ভবপর হবে।
২০২১
আরও পড়ুন >>>একরত্তি সন্তানকে রেখেই সংসদে ‘মা’ নুসরত! যা বললেন, আলোড়ন পড়ল পার্লামেন্টে।
Leave a Reply