চুয়াডাঙ্গা ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদে রহস্যময় কুঁড়েঘর

Padma Sangbad

অনলাইন ডেস্ক।।

সম্প্রতি অদ্ভুত এক ‘কুঁড়েঘর’ দেখা গেছে চাঁদে। ইয়ুতু-২ নামে রোবটযানের ক্যামেরায় সেই কুঁড়েঘরের ছবি ধরা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটের চীনা সংস্করণে এক পোস্টে চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএনএসএ) যার ছবি প্রকাশ করেছে। বিষয়টি তদন্তে কাজ করছে চীন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ছবিতে দেখা যায় চাঁদের নির্বিশেষ পাথুরে ভূমি। কিছুটা দূরে মাটি থেকে খানিকটা উঁচু চারকোনা এক আকৃতি দেখা যাচ্ছে। সে আকৃতিকে ‘রহস্যময় কুঁড়েঘর’ হিসেবে উল্লেখ করেছে সিএনএসএ। উইচ্যাটের পোস্টে সিএনএসএ মজার করে বলে, ‘এটা কি জরুরি অবতরণের পর এলিয়েনদের তৈরি ঘর? নাকি চাঁদকে জানার জন্য পূর্বসূরিদের পাঠানো কোনো নভোযান?’

রহস্যময় কুঁড়েঘরটি আসলে কী তা খতিয়ে দেখবে ইয়ুতু-২। বস্তুটির কাছাকাছি পাঠানো হবে এই রোবটযানকে।

ইয়ুতু-২ চলে সৌরশক্তিতে। সূর্যের আলো না পেলে, বিশেষ করে রাতে এটি চলতে পারে না। আর চাঁদের রাত সাধারণত দুই সপ্তাহ লম্বা হয়। আবার অত্যধিক গরম হওয়ার সূর্য ঠিক মাথার ওপরে থাকলে এই রোবটযান চালানো হয় না। তা ছাড়া খানাখন্দ এড়িয়ে পথ বুঝেশুনে এমনিতেই ধীরে ধীরে চলে যানটি।

নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানায়, কুঁড়েঘর সদৃশ চারকোনা আকৃতির বস্তুটি উল্কাপিণ্ড বা মহাকাশের পাথরও হতে পারে। পৃথিবীর যেমন বায়ুমণ্ডল আছে, চাঁদের তেমন নেই। এতে মহাকাশ থেকে পাথরখণ্ড ছুটে এলে সরাসরি চন্দ্রপৃষ্ঠে আঘাত হানে। পৃথিবীর ক্ষেত্রে বায়ুমণ্ডলের স্তর পেরোনোর সময় পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। চাঁদে এমন হয়না।

আপডেট : ১২:৪১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

চাঁদে রহস্যময় কুঁড়েঘর

আপডেট : ১২:৪১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

অনলাইন ডেস্ক।।

সম্প্রতি অদ্ভুত এক ‘কুঁড়েঘর’ দেখা গেছে চাঁদে। ইয়ুতু-২ নামে রোবটযানের ক্যামেরায় সেই কুঁড়েঘরের ছবি ধরা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটের চীনা সংস্করণে এক পোস্টে চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএনএসএ) যার ছবি প্রকাশ করেছে। বিষয়টি তদন্তে কাজ করছে চীন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ছবিতে দেখা যায় চাঁদের নির্বিশেষ পাথুরে ভূমি। কিছুটা দূরে মাটি থেকে খানিকটা উঁচু চারকোনা এক আকৃতি দেখা যাচ্ছে। সে আকৃতিকে ‘রহস্যময় কুঁড়েঘর’ হিসেবে উল্লেখ করেছে সিএনএসএ। উইচ্যাটের পোস্টে সিএনএসএ মজার করে বলে, ‘এটা কি জরুরি অবতরণের পর এলিয়েনদের তৈরি ঘর? নাকি চাঁদকে জানার জন্য পূর্বসূরিদের পাঠানো কোনো নভোযান?’

রহস্যময় কুঁড়েঘরটি আসলে কী তা খতিয়ে দেখবে ইয়ুতু-২। বস্তুটির কাছাকাছি পাঠানো হবে এই রোবটযানকে।

ইয়ুতু-২ চলে সৌরশক্তিতে। সূর্যের আলো না পেলে, বিশেষ করে রাতে এটি চলতে পারে না। আর চাঁদের রাত সাধারণত দুই সপ্তাহ লম্বা হয়। আবার অত্যধিক গরম হওয়ার সূর্য ঠিক মাথার ওপরে থাকলে এই রোবটযান চালানো হয় না। তা ছাড়া খানাখন্দ এড়িয়ে পথ বুঝেশুনে এমনিতেই ধীরে ধীরে চলে যানটি।

নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানায়, কুঁড়েঘর সদৃশ চারকোনা আকৃতির বস্তুটি উল্কাপিণ্ড বা মহাকাশের পাথরও হতে পারে। পৃথিবীর যেমন বায়ুমণ্ডল আছে, চাঁদের তেমন নেই। এতে মহাকাশ থেকে পাথরখণ্ড ছুটে এলে সরাসরি চন্দ্রপৃষ্ঠে আঘাত হানে। পৃথিবীর ক্ষেত্রে বায়ুমণ্ডলের স্তর পেরোনোর সময় পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায়। চাঁদে এমন হয়না।