রাশিদা-য়ে আশরার,কবি ও সাহিত্য সম্পাদক দৈনিক পদ্মা সংবাদ।
জন্মভূমি তুমি আমার, মা- মাতৃ রুপি তুমি স্নেহময়ী;
তোমার কোলে প্রাণের আকুতি বারবার ফিরে আসি
স্বপনে জাগরণে,মায়ার বাঁধনে বেঁধে রেখ- বুকে দিও মোরে ঠাই!
আদরের চাদরে ঢেকে, মাথায় রেখো কোমল হাত খানি,
এ আঁধার জীবনে মমতার ফুলে ছড়িয়ে আলোর দ্যুতি।
বাংলা আমার প্রাণের ভাষা- বাংলা আমার ভালোবাসা;
বাংলা ভাষায় কথা বলি, ভাব বিনিময় লিখি ও পড়ি,
এদেশে মাটি, জলবায়ু প্রকৃতি সোনার চেয়েও খাঁটি-
এ দেশ আমার গর্ব অহংকার- এদেশে জন্মেছি বলে ধন্য আমি!
এ মাটির সঙ্গে মিলে মিশে একাকার আত্মার সম্পর্ক, আমার নাড়ির যোগ, হৃদয়ের বন্ধন- প্রাণের স্পন্দন;
এ মাটির ঝরনা তলে,স্নেহের জলে অনন্ত তৃষ্ণা মিটাই,
মাতৃভূমির আঁচল তলে শীতল পরশে দুঃখ-কষ্ট লুকাই!
সবুজ ঘাসের কোলে বেড়ে ওঠা- হাটি হাটি পাপা করে,
সেই যে আমার নয়নাভিরাম দৃশ্য মন মাতানো গাঁও-
হিজল- তমাল বনে, বীথি- মল্লিকা তলে অবাধ ভ্রমণ;
পিতৃ- মাতৃস্নেহ ছায়ায় দুরন্ত শৈশব, প্রানবন্ত কৈশোর- তারুণ্যের সেই সোনালী সময় স্বপ্ন রঙিন দিন…
মন পবনের নাও ভাসিয়ে কত শত ছবি আঁকে ক্রমশঃ আজও সমুজ্জ্বল সুস্পষ্ট- কাঁদে অনাহুত স্মৃতির মিনার!
বেলা শেষে নিয়তি কুড়িয়ে নিয়ে যায় ঝরা পাতার মতো,
যখন আসবে অন্তিম সময় দুর্বল চিও- আখি ছলো ছল,
এই তো অবধারিত- এই তো সত্য পৃথিবী মরীচিকা সম; চাওয়া-পাওয়ার নেই শেষ সবার মত শত অপূর্ণতা নিয়ে আমিও চলে যাবো…
অচেনা পথের বাঁকে পড়ে রবে এই বিশ্ব চরাচর;
অগাধ বিশ্বাসে তোমাকেই আপন করে এক টুকরো সাদা কাফনাবৃত;
জননী রূপী জন্মভূমি তুমি বাড়িয়ে দিও বন্ধুত্বের হাত- নিবিড় আলিঙ্গনে অকৃত্রিম ভালোবাসায়!
মৃত্যু আসে বেলা শেষে কুড়িয়ে নিয়ে যায় অবলীলায়, সেখানেই বসবাস করতে হবে শীত, গ্রীষ্ম,বর্ষা অনাদি অনন্তকাল!
চলে যেতে হয় চলে যাওয়ার নিয়মে তবুও জীবন সুন্দর;
প্রাণের ছোঁয়ায় প্রকৃতির মায়া প্রাণ প্রাচুর্য ভরপুর,
এদেশের মাটি- জলবায়ু;
নদ-নদী বেষ্টিত ফুল ফসল,পাখির কলরব মনমুগ্ধকর;
মাটির গন্ধে সৌরভ প্রতিটি ঋতু আসে তার স্বমহিমায়;
জন্মভূমি বাংলা আমার “এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো আর।
Leave a Reply