নিজস্ব প্রতিবেদক।
জীবন ও জীবিকার জন্য অর্থের অতি জরুরি একমুঠ মোটা চালের ভাত আর মোটা কাপড়ের জন্য মানুষ নানানরকম কর্মের সাথে জড়িয়ে আছে কিন্তু এই অর্থে জন্য কিছু দুষ্কৃতকারী মাদক,চোরাচালান,নানাবিধ অপরাধ করে চলেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৭ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ র্যাব-৬, সিপিসি-২(ঝিনাইদহ ক্যাম্প) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার মামলা নং-১২ তারিখ: ০৮-০১-২০২২ ইং এর ধারা-৭ এর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ০১জন অপহরনকারী পলাতক আসামী ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার ধোপাঘাটা এলাকায় গোপনীয়ভাবে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে অভিযানিক দলটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য র্যাব-৬, ঝিনাইদহের একটি চৌকশ আভিযানিক দল এর নেতৃত্বে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন ধোপাঘাটা নতুন ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ০১জন অপহরনকারী পলাতক আসামী- মো: হান্নান মিয়া(৫৬), পিতা- আব্দুল জব্বার, সাং- পান্নাতপুর, থানা- শাহাজাদপুর, জেলা- সিরাজগঞ্জকে ভিকটিমসহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেফতারকৃত অপহরনকারীর হেফাজত হতে ০১জন ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য যে, উক্ত অপহরনকারী পলাতক আসামী ভিকটিম মোছা: সাদিয়া আক্তার তাজমা(১৬), পিতা- মো: আব্দুল কুদ্দুস, সাং-চক গোপাল (হাতিবান্ধা), থানা- শিবগঞ্জ, জেলা- বগুড়া এর মামার বাড়ীতে বাসা ভাড়া থাকা অবস্থায় ভিকটিমকে বিভিন্ন রকম লোভ লালসা এবং অন্যান্য বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ব্যর্থ হয়ে পরবর্তীতে তাকে অপহরন করার পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে অপহরন করে বগুড়া হতে ঝিনাইদহ এলাকায় অবস্থান করে। ভিকটিমকে বিভিন্ন ভয়, হত্যা এবং প্রাণ নাসের হুমকি দিয়ে তাকে দীর্ঘদিন যাবত বন্দী করে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার ধোপাঘাটা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া করে স্ত্রীর পরিচয়ে গোপনীয়ভাবে অবস্থান করে। অপহরনকারী ভিকটিমকে বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনসহ নজরবন্দী করে রাখত বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত অপহরনকারীকে বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply