দৈনিক পদ্মা সংবাদ অনলাইন ডেস্ক।।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার কারণে বাংলাদেশে ১০ থেকে ১৬ জানুয়ারি অবধি এই ছয়দিনে করোনা রোগী বেড়েছে প্রায় ১৭ হাজার। সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
সামনের দিনগুলোতে রোগী আরও বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবং সংক্রমণ সামালাতে এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন আইইডিসিআর’র উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন।
ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ২০২২ সালের শুরু থেকে রোগীর সংখ্যা আবারও বেড়ে চলেছে। ডেল্টার ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে গত বছরের মাঝামাঝিতে যে ভয়াবহ অবস্থা হয়েছিল, সেরকম পরিস্থিতি আবারও সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা জাগাচ্ছে নতুন ভাইরাস ওমিক্রন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার (১৭ জানুয়ারি) জানিয়েছে, গত ১০ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ১৭ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছিল ৭ হাজার ২৩৪ জন। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সংক্রমণ বেড়েছে ২৩১ দশমিক ৯ শতাংশ।
গত ১০ জানুয়ারি একদিনে ২ হাজার ২৩১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার এক সপ্তাহ পর, ১৭ জানুয়ারি একদিনে তার প্রায় তিন গুণ বেশি রোগী (৬,৬৭৬) শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত এক সপ্তাহে করোনার কারণে ৪২ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে। তাদের মধ্যে ৭৩ দশমিক ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ৩১ জন টিকা নেননি বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর। বাকি ১১ জন করোনার টিকা নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৯ জন দুই ডোজ, বাকি ২ জন নিয়েছেন প্রথম ডোজ।
গত এক সপ্তাহে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন এবং ৭৫ দশমিক ৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ ছিল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্যবিধি না মানার পাশাপাশি ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে বলে মনে করেন ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, ঢাকায় ওমিক্রনের সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। বড় বড় শহরের পাশাপাশি সীমান্তের জেলাগুলোয় তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ওমিক্রন এখন পর্যন্ত তেমন প্রাণঘাতী না হলেও যে হারে প্রতিদিন রোগী বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে সেটা সামাল দেওয়া কঠিন হবে। হাসপাতালগুলোয় যদি ভিড় বাড়ে, তখন নানা সঙ্কট দেখা দেবে। সেখানে নন-কোভিড এবং কোভিড যারা সিরিয়াস রোগী তারা হয়তো হাসপাতালে ঢুকতেই পারবেন না। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।।
Leave a Reply