জীবন- মৃত্যু ও ইহকাল পরকাল!

রাশিদা-য়ে আশরার।
“পার্থিব জীবন ক্রীড়া ব্যতীত আর কিছুই নয়”
সৃষ্টিকর্তা পবিত্র আল-কুরআনে একথাই আলোকপাত করেছেন!
শ্রষ্ঠা পৃথিবীতে মানব জাতিকে সৃষ্টির সেরা রূপ দিয়ে- শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন কিছু কাল জীবন উপভোগ করার জন্য ও ইবাদত করার জন্য প্রেরণ করেছেন!
কিন্তু জীবন যে ক্ষণস্থায়ী স্বল্পকালীন মানুষ কিছুতেই তা উপলব্ধি করতে চায়না।
চোখের সামনে এক এক করে চলে যান অনেকের পিতা-মাতা ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজন প্রিয়জন… তবুও কি আমরা নিজেদের অবস্থান অনুভব করতে পারিনা?
আমরা কি অনুভব করতে পারি না আল্লাহ যদি ভালো কাজের পুরস্কার দেন তাহলে খারাপ কাজের জন্যেও অবশ্যই শাস্তি প্রদান করবেন?
আমরা কি অনুভব করতে পারিনা জন্ম- মৃত্যু যার হাতে, যিনি পুনরায় আত্মাগুলোকে পুনর্বিন্যাস করতে সক্ষম; তিনি চাইলে পৃথিবীর সমস্ত সৃষ্টিকে কি ধ্বংস করে দিতে পারেন না এক নিমিষেই? সাম্প্রতিক চলমান সময়ে করোনা মহামারী তে থমকে গেছে পুরা বিশ্ব;
এর চেয়ে বড় সত্য আর কি হতে পারে? তবুও কি আমরা আমাদের স্বভাব- মন্দ কাজ ত্যাগ করতে পারিনা,পারিনা নিজেদেরকে বদলাতে কারণ পৃথিবীর মোহ!
মৃত্যুর পর মানুষ জীবিত পুনরুত্থিত হবে,একে একে কবরবাসীগন কে তোলা হবে কেয়ামত দিবসে- অতঃপর শেষ বিচার দিবস হাশরের ময়দানে… সৃষ্টিকর্তার আদালতে সেদিন লিপিবদ্ধ হবে মানুষের কৃতকর্মের বিচার। মনে রাখা প্রয়োজন ঘাড়ের দুই পাশে দুই ফেরেশতা সব কিছু লিখছেন ভালো-মন্দ কাজ, সেদিন জনসমক্ষে নিজের কৃতকর্ম তুলে ধরা হবে, দেখানো হবে ভিডিও চিত্র তবুও মানুষ অস্বীকার করবে। তাছাড়া মাথার পেছনে ঘাড়ের মধ্যে ককশিক নামক একটি ক্যামেরা যন্ত্র রয়েছে যা প্রতিমুহূর্তে ভিডিও হচ্ছে, তাও দেখানো হবে তবুও মানুষ অস্বীকার করবে অতঃপর কথা বলার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হবে!
সৎ ও নেক আমল কারী ছাড়া কেউ আল্লাহর আরশের নিচে ছায়া পাবে না। কঠিন হবে সেইদিন সূর্য মাথার এক হাত উপরে থাকবে, মগজ গুলো ভাতের মাড়ের মতো গলে গলে পড়বে, জিব্বা টা কুকুরের মত ঝুলবে আর কেয়ামতের দিন টি হবে অনেক দীর্ঘ ৫০ হাজার বছর! সেদিন আল্লাহ খুব রাগান্বিত থাকবেন আর হযরত মুহাম্মদ (সঃ) জায়নামাজে দোয়া প্রার্থনায় উপবিষ্ট থাকবেন উম্মাতি উম্মাতি বলে উম্মতের ক্ষমার জন্য ক্রন্দনরত; উল্লেখ্য আল্লাহর সেদিন অন্য কারো কথা শুনবেন না প্রিয় নবী(সাঃ) ছাড়া- তাঁর সুপারিশ ছাড়া কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
আমরা জেনে বুঝেও কেন বেখবর থাকি? কারণ দুনিয়ার লোভ-লালসায় মিছে মায়ায় জড়িয়ে মানুষের স্বভাব টাই এরকম,ঘরের দরজা বন্ধ করা পাপগুলোও স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা দেখছেন বা জানছেন! সপ্ত আসমানের উপরে থেকেও পিপীলিকা পায়ের আওয়াজ সৃষ্টিকর্তা শুনতে পান- আমাদের ভুল তো সেখানেই আমরা চোখ থাকতে অন্ধ; কান থাকতেও শ্রবণ করি না- হৃদয় থাকতেও উপলব্ধি করি না- বিবেক বুদ্ধি থাকলেও কাজে লাগায় না আর মানবতা মনুষ্যত্ব বিবেকের কথা বাদই দিলাম! সৃষ্টিকর্তা সকলকে জানার বোঝার ও সব কিছু যথাযথভাবে মেনে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।
২২০২