অনলাইন ডেস্ক।
হিন্দিতে একটা প্রবাদ আছে, ‘শাদী কে লাড্ডু জো খায়ে ও পছতায়ে, জো না খায়ে ও ভী পছতায়ে’। অনেক সময় এক ব্যক্তির দু’টি বিয়ের কথাও শোনা যায়। কিন্তু কখনও শুনেছেন, বিশেষ করে বর্তমান যুগে, এক বা দুই নয়, কেউ আটটি বিয়ে করেছেন!
শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও থাইল্যান্ডের এক ব্যক্তি আট স্ত্রীকে নিয়ে একই ছাদের তলায় দিব্যি সংসার করছেন। বর্তমান যুগে যেখানে এক স্ত্রীকে নিয়েই অনেকে হিমশিম খান, যেখানে আকছার বিবাহবিচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটছে, এমন অবস্থায় এই ঘটনায় চোখ কপালে উঠছে অনেকের।
ওং ড্যাম সোরোট। গত কয়েক দিন ধরেই নেটমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে বিপুল চর্চা হচ্ছে। সোরোট পেশায় এক জন ট্যাটু শিল্পী। সোরোটের দাবি, আট স্ত্রীকে নিয়ে সুখে সংসার করছেন তিনি। এমনকি স্ত্রীদের পরস্পরের মধ্যে কোনও অশান্তিও হয় না বলে জানিয়েছেন তিনি। আট স্ত্রী-ই তাঁকে খুব ভালবাসেন। যত্ন নেন। নিজেকে ভাগ্যবান বলেই দাবি করেছেন সোরোট।
আট স্ত্রীর সঙ্গে কী ভাবে আলাপ সে কথাও জানিয়েছেন সোরোট। সেই কাহিনিও মজার।
প্রত্যেকের সঙ্গেই প্রথম দেখায় প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। এবং বিয়েও করেন তাঁদের। প্রথম স্ত্রী নাং স্প্রাইটের সঙ্গে এক বন্ধুর বিয়েতে আলাপ হয়। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েন তার পর বিয়েও করেন তাঁকে। দ্বিতীয় স্ত্রী নাং এলকে দেখেছিলেন বাজার করতে গিয়ে। তৃতীয় স্ত্রী নাং নেনের সঙ্গে আলাপ হয় হাসপাতালে। চতুর্থ, পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্ত্রীর সঙ্গে সোরোটের আলাপ হয় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটকে।
মায়ের সঙ্গে এক মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে সপ্তম স্ত্রী নাং ফিল্মের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সোরোটের। এবং অষ্টম স্ত্রী নাং মেইয়ের সঙ্গে আলাপ হয় সাত স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে।
সোরোটের স্ত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই তাঁদের স্বামীকে সমান ভালবাসেন। শুধু তাই নয়, সোরোটের একের বেশি স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তাঁরা পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করেন না বলে জানিয়েছেন আট স্ত্রী-ই।
সাধারণত এক স্ত্রীকে নিয়ে সুখে সংসার করতেই অনেকে হিমশিম খান। সেখানে আট স্ত্রীকে নিয়ে কী ভাবে সংসার চালান সোরোট? অনেকেই মনে করেন সোরোটের প্রচুর সম্পত্তি। আর সেই সম্পত্তি দেখেই তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন আট জন। কিন্তু এ ধারণা সত্য নয় বলে দাবি সোরোটের স্ত্রীদের। সোরোট এক জন ট্যাটু শিল্পী। তার পাশাপাশি, তাঁর প্রত্যেক স্ত্রী-ই কিছু না কিছু রোজগার করে থাকেন। ফলে সংসার চালাতে কোনও সমস্যাই হয় না সোরোটের।
সুত্রঃ আনন্দ বাজার প্রত্রিকার।
Leave a Reply