সময়ের বিবর্তনে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রায় বিলুপ্তির পথে মহিষ। একসময় মহিষ গ্রাম-গঞ্জে বাড়ি বাড়ি লালন-পালন করা হলেও আধুনিকতার ছোঁয়ায় তা হারিয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মের কাছে মহিষ যেন এক বিরল প্রজাতির প্রাণী। সাধারণত বর্তমানে মহিষকে এশিয়ার প্রাণী বলা হয়।
মহিষ দেখতে কালো, ধুসর অথবা বাদামী রঙের। কৃষি কাজে জমি কর্ষণের শক্তি হিসেবে, পণ্য পরিবহনের কাজে এবং মানুষের নিকটবর্তী পথ চলাচলে গাড়ি টানার জন্য, অর্থ সাশ্রয়ী ও পরিবেশ দূষণমুক্ত শক্তির প্রয়োজনে, খাদ্য বস্তু হিসেবে তুলনামূলকভাবে অধিক ননী-সমৃদ্ধ দুধ আর মোটা আঁশযুক্ত মাংসের উৎস হিসেবে, জমির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য জৈব সার হিসেবে হাড় ও গোবরের ব্যবহার, মানুষের ব্যবহার্য সৌখিন সামগ্রী তৈরির জন্য শিং, হাড় ও চামড়ার ব্যবহারের জন্য মহিষ পালনের গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায়। মহিষ গড়ে ১৫ বছর বাঁচে এবং সমগ্র জীবণচক্রে প্রায় ১৬-১৭টি বাছুর দিয়ে থাকে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মুনসুর আলী বলেন, কত বছর ধরে মহিষ চোখে দেখতে পাইনি তা ঠিক মনে করতে পারছি না৷ ছোট বেলায় আমাদের বাড়িতে মহিষ পালন করতাম। বিক্রি হওয়ার পর আর কখনও মহিষ চোখে পড়েনি৷ আধুনিকতার ছোঁয়ায় মহিষ এখন বিলুপ্তির পথে।
অনেক কিশোর/কিশোরীর কাছে মহিষ সম্পর্কে জিজ্ঞাস করলে তারা কেউ কখনো মহিষকে স্বচক্ষে দেখেননি বলে জানান৷ কলেজ শিক্ষার্থী নুসরাত তামান্না বলেন, আমি বইয়ে নাম শুনেছি ও ছবি দেখেছি মহিষের। কোনদিন স্বচক্ষে দেখা হয়নি৷ আমি মনে করতাম এটা মনে হয় জঙ্গলে বসবাস করে এমন প্রাণী।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগের মত আর মহিষ পালন করা হয় না৷ মহিষের খামারও সেই ভাবে পরীলক্ষিত হয় না। তবে জেলার কয়েকটি জায়গায় দু’একটি করে মহিষ পালন হয়৷ সময়ের বিবর্তনে এই গবাদি প্রাণীটি হারিয়ে যাচ্ছে।
Leave a Reply